ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ২৫১ রান তুলতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। আবারো বৃষ্টি নামায় ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ২৪৬। জবাব টাও খুব দারুণ ভাবে দিলো স্বাগতিকরা। ৭ উইকেট ও ৬২ বল হাতে রেখেই তিন ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে হোওয়াইটওয়াশ করলো তারা।
লন্ডনের আকাশে সকাল থেকেই বৃষ্টি। তার মাঝেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রাস্তার যানজট। ৩০ মিনিট পরে শুরু হওয়া ম্যাচে টসে জিতে উইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক।
শুরুটাও দারুণ করতে পারেনি সফরকারীরা। ১০০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। হুট করে আরো ২ বলে ২ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে। শেরফানে রাদারফোর্ড ক্রিজে থাকলেও তিনিও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৭১ বলে ৭০ রান করে ফেরেন।
মাত্র ১৫৪ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন সময় দলের হাল ধরেন আলজারি জোসেফ ও গুডাকেশ মোটি। অষ্টম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৯১ রানের দুর্দান্ত জুটি। ৪১ রানে আউট হন জোসেফ, তবে মোটি ছিলেন দুর্দান্ত। ৫৪ বলে ৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তাদের দৃঢ়তায় সফরকারীরা ৯ উইকেটে ২৫১ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্পিনার আদিল রশিদ। তিনি ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে শিকার করেন ৩ উইকেট। সাকিব মাহমুদ, ব্রাইডন কার্স ও ম্যাথু পটস পান ২টি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই জয়ের ভিত গড়ে দেন জেমি স্মিথ। মাত্র ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে থামেন তিনি। এরপর বেন ডাকেট ও জো রুট এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। ডাকেট ৪৬ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫৮ রান। দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙার পর রুটও ফিরে যান ৪৯ বলে ৪৪ রান করে।
শেষ দিকে হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার দলকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি। তাদের ৪৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই ২৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।