ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ভালুকা উপজেলা পরিষদ ভবনের দৃশ্য এখন যেন এক টুকরো প্রশান্তির নাম। পরিষদের অভ্যন্তরীণ পরিবেশে এসেছে আমূল পরিবর্তন। মাথার উপর ঘুরছে ইলেক্ট্রিক পাখা, আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা, পাশে রয়েছে পাঠকদের জন্য জ্ঞান আহরণের বই ও সবুজে ঘেরা গাছপালা-যা পরিবেশকে করেছে আরও মনোরম ও প্রাণবন্ত। এ রকম সাজানো-গোছানো ভবনে ক্লান্তি বা বোরিং অনুভবের সুযোগ নেই বললেই চলে।
এক সময়ের চিত্র ছিল ভিন্ন। উপজেলা পরিষদে কোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা নিতে আসা মানুষদেরকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হতো, কোথাও বসে বিশ্রাম নেওয়ার মতো পরিবেশ ছিল না। অনেক ক্ষেত্রেই সেবা পাওয়াটা ছিল কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ।
কিন্তু বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চিত্রটা বদলাতে শুরু করে। জনবান্ধব পরিষেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনসাধারণের স্বাচ্ছন্দ্য ও সম্মান রক্ষার দিকেও তিনি সমান মনোযোগ দিয়েছেন। ফলস্বরূপ, এখন মানুষ শুধু সেবা নিতে নয়, অনেকেই এখানে এসে বই পড়ে, বিশ্রাম নেয়, এমনকি গাছের ছায়ায় কিছু সময় কাটিয়ে মানসিক প্রশান্তিও খুঁজে পায়।
সাধারণ মানুষের কণ্ঠে প্রশংসার জোয়ার। তারা বলছেন, "আগে এতটা স্বস্তি নিয়ে উপজেলা পরিষদে আসা যেত না। এখন এসে মনে হয় যেন একটা গ্রন্থাগার আর উদ্যানের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি।"
অনেকেই ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলছেন, "তিনি শুধু একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নন, একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক যিনি মানুষের কষ্ট বুঝতে পারেন।"
এমন উদ্যোগ ও মানবিক নেতৃত্ব সত্যিই উপজেলাবাসীর জন্য এক আশার আলো, যা দেশের অন্যান্য উপজেলা প্রশাসনের জন্যও হতে পারে অনুকরণীয় মডেল।