close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নে তরুণদের জোর দাবি

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমাতে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তরুণ নেতারা..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সড়ক দুর্ঘটনায় লাখে প্রায় ১৯ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা। মঙ্গলবার (২৪ জুন '২৫) রাজধানীর শ্যামলীতে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ শীর্ষক তরুণ সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন তিনি।

সভায় সড়ক নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তানজীদ মোহাম্মদ সোহরাব রেজা বলেন- বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা সংক্রান্ত হলেও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে যথেষ্ট নয়। সড়কে সব ধরনের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার জন্য ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন জরুরি।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের রোড সেফটি প্রকল্পের অ্যাডভোকেসি অফিসার (পলিসি) মনোয়ারুল ইসলামের সঞ্চালনায় এই সভায় বক্তব্য রাখেন আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং-এর সদস্য এ.এফ.এম সাদমান সাকিব এবং বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাধারণ সদস্য ইশতেয়াক ইমন।

তরুণ বক্তারা জানান, বিদ্যমান সড়ক পরিবহন আইনে সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা উপেক্ষিত হয়েছে। তাদের দাবি, আইনটিতে পথচারী, সাইকেল চালক, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং শিশুদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত বিধি-বিধান নেই। তাই একটি শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের দাবিতে তরুণরা ঐক্যবদ্ধ।

তারা আরো বলেন, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগে সরকারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে তরুণদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তরুণদের মৃত্যুর প্রধান কারণ সড়ক দুর্ঘটনা। বিগত সময়ের মতো এবারও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তরুণ শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হলে তা সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সহায়ক হবে। এছাড়া, সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আইনটি কার্যকর হলে সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে।

সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এর ফলে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।

לא נמצאו הערות