close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সবার ঐকমত্যে জুলাই মাসেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব — ড. আলী রীয়াজ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে চলতি জুলাই মাসেই জাতীয় সনদ তৈরির আশা ব্যক্ত করলেন ড. আলী রীয়াজ, বাংলাদেশের ভবিষ্যত ও সংস্কারের স্বার্থে সকলের সম্মিলিত পদক্ষেপ জরুরি।..

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের সংলাপে উল্লেখ করেন, চলতি জুলাই মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সর্বসম্মতির ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রণয়ন সম্ভব হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে একমত হয়ে দেশের সামনে এগিয়ে আসবে।

ড. আলী রীয়াজ বলেন, “দলগুলোর অবস্থান যেখানে-সেখানে থাকতে পারে, তবে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে আমরা দৃঢ় আশাবাদী। যদিও প্রতিদিনের আলোচনায় অগ্রগতি চোখে পড়ছে না, তবুও দেশের মানুষ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আমাদের থেকে পরিবর্তন ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করছে।

সংলাপের শুরুতেই শহীদদের প্রতি এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। এই আলোচনায় প্রধানত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শনের বিধান এবং অন্যান্য অমীমাংসিত ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানায়, প্রথম দফায় ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত মোট ৪৫টি অধিবেশনে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন ইস্যুতে ধারণা ও মতবিনিময় হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় দফার আলোচনাসভা ২ জুলাই থেকে শুরু হয় এবং বর্তমানে তা চলছে।

অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের মতে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিকক্ষীয় সংসদ গঠনে বেশিরভাগই একমত পোষণ করেছে। উচ্চকক্ষে ভোটের ভিত্তিতে আসন বণ্টনেও সমর্থন রয়েছে। তবে কিছু দল এখনো ভিন্নমত ব্যক্ত করছে।

গত রোববার (২৯ জুন) তিনি আরও বলেন, “আমরা কেউ আগের অবস্থায় ফিরে যেতে চাই না। দেশের স্বার্থে সংস্কারের আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতি প্রয়োজন। আমাদের প্রশ্ন করতে হবে, শুধু নিজেদের ও দলের স্বার্থ বিবেচনা করব, নাকি দেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে ঐক্যের পথে এগিয়ে যাব?” তিনি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের অঙ্গীকারের বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এনসিপি ও বিএনপি-জামায়াতে ইসলামিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা জাতীয় সনদ তৈরির জন্য গতিশীল এবং ফলপ্রসূ সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। দেশের জনগণও এই ঐকমত্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের আশায় উন্মুখ।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে এই জাতীয় সনদ প্রণয়নকে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য এবং সুষ্ঠু আলোচনার মাধ্যমে দেশ নতুন একটি গণতান্ত্রিক ও উন্নয়নমুখী গন্তব্যে পৌঁছাবে।

Hiçbir yorum bulunamadı


News Card Generator