close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার সাবেক পিপিকে ৪ দিন ও তার ছেলেকে তিন দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
পৃথক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল লতিফকে চারদিন ও তার ছেলে আমিনুল হাসান রাসেলকে তিন দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা। 

পৃথক মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য  সাতক্ষীরা জজ আদালতের সাবেক পিপি, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আব্দুল লতিফকে চারদিন ও তার ছেলে আমিনুল হাসান রাসেলকে তিন দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।


বৃহষ্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর '২৫) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম বিলাস মণ্ডল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদ্বয়ের ৫ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন শুনানী শেষে এ আদৈশ দেন।

অ্যাড. আব্দুল লতিফ (৫৮) সাতক্ষীরা সদরের কামারবায়সা গ্রামের ও শহরের রসুলপুরের মৃত মুনসুর রহমানের ছেলে। তার ছেলে আমিনুল হাসান রাসেল (৩৫) কামারবায়সা গ্রামের বসবাস করে।

সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে,  সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে ট্রাক চালক হুমায়ুন কবীরসহ কয়েকজন ঘটনার ১০ দিন পূর্বে ঢাকা থেকে তুলে এনে বিভিন্ন স্থানে রেখে পুলিশি নির্যাতন করে। ধরে আনার পর পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম বাড়ির ভাড়াটিয়া হওয়ার কারণে তার সহযোগিতায় পিপি আব্দুল লতিফ আইনি সহায়তা দেওয়ার নাম করে ২০ লাখ টাকা চেয়ে পাঁচ লাখ টাকা আদায় করেন। ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে বাইপাস সড়কের কাশেমপুর এলাকায় পুলিশ হুমায়ুন কবীরের বুকের বাম পাশে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজগার আলী বাদি হয়ে পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ও আব্দুল লতিফসহ সহ ১৮ জনকে আসামী করে গত বছরের ২৫ আগষ্ট আদালতে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলা (সিআর- ৯৪৭/২৪ সদর) দায়ের করেন। আমলী প্রথম আদালতের বিচারক নয়ন কুমার বড়াল অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ি গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। 

শুক্রবার আইনজীবী কমিশনের মাধ্যমে খুলনার বহেরায় সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অমায়িক বাবুকে নিয়ে বাড়ির অংশ বিশেষ দলিল করার একপর্যায়ে ১২ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
একইভাবে সাতক্ষীরা সদরের কুচপুকুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে হবিবর রহমান হবিকে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে লুটপাট ও মারপিট শেষে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন ভোরে কদমতলা বাজারের সোহরাব হোসেনের পুকুর পাড়ে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আকবর আলী বাদি হয়ে গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার তৎকালিন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও আমিনুল হাসান রাসেলসহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১২জনকে আসামী করে সাতক্ষীরার আমলী -১ম আদালতে অপহরণ ও হত্যা মামলা (সিআর-১০১৭/২৪ সদর) দায়ের করেন। বিচারক নয়ন কুমার বড়ালের নির্দেশে ১২ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এ মামলায় ১২ ডিসেম্বর খুলনার বয়রা থেকে আমিনুল হাসান রাসেলকে আটক করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর বাবা ও ছেলে প্রত্যককে ৫ জিজ্ঞাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়। রিমাণ্ড শুনানীর জন্য ১৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের পিপি অ্যাড, আব্দুস সাত্তার, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম ও অ্যাড. এবিএম সেলিম। আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জজ কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. শফিউর রহমান শফি।

বাবা ও ছেলের রিমাণ্ড মঞ্জুরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার উপ-পরিদর্শক আল আমিন ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ হীল আরিফ নিশাত। তারা জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ি তাদেরকে কারাগার থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হবে।

No comments found


News Card Generator