শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরার দেবহাটায় জামায়াত ইসলামের যুব ও ক্রীড়া বিভাগের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন '২৫) বিকেল ৫টায় পারুলিয়াস্থ জামায়াত অফিস থেকে একটি বিশাল র্যালি বের হয়ে সখিপুর মোড়ে এসে সমাপ্ত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা যুব ও ক্রীড়া বিভাগের সভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি ইয়াছির আরাফাত লিপু। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাহাবুবুল আলম, যিনি বলেন, "পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমাদের দেশে মাদক আসছে। এতে আমাদের যুবকরা ধ্বংসের মুখে পড়ছে। তারা চাই আমাদের যুবশক্তি শেষ হয়ে যাক। সেজন্য তারা সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক উৎপাদন কারখানা করেছে। তাই আমাদের যুব সমাজকে এই ভয়ানক ছোবল থেকে রক্ষা করতে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।"
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অলিউল ইসলাম, যিনি বলেন, "যারা মাদকের সাথে জড়িত তারা সাবধান হয়ে যান। আমরা খুব দ্রুত প্রতিটি এলাকা থেকে তালিকা করে প্রশাসনকে সহযোগিতা করব। মাদক বন্ধে আমাদের প্রতিটি ইউনিট কাজ করছে। তাই আসুন মাদককে পরিহার করে সুন্দর সমাজ গড়ি।"
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই লেলিন হোসেন, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সোলাইমান হোসেন, আব্দুল গফুর সরদার, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, ইসরায়েল আশেকে মাগফুর, মাওলানা আব্দুল ওহেদ, মাওলানা সামছুল আরেফ, কুলিয়া ইউনিয়ন আমীর মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, পারুলিয়া ইউনিয়ন আমীর সোহরাব হোসেন, সখিপুর ইউনিয়ন আমীর ইয়াকুব সরদার, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আমীর (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল্লাহ বাশার এবং দেবহাটা ইউনিয়ন আমীর আবুল হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও জনসাধারণ।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা মাদক বিরোধী প্রচারণায় যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন এবং এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে সামাজিকভাবে মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার আশা প্রকাশ করেন। বক্তারা মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং সামাজিক স্তরে একত্রিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ এবং সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
মাদক সমস্যার প্রেক্ষাপটে, বিশেষত সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদকের প্রবাহ রোধে স্থানীয় প্রশাসন ও সমাজের প্রতিনিধিদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানানো হয়। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।