সাতক্ষীরার আশাশুনিতে মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে স্কুল শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলন..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
সাতক্ষীরার আনুলিয়া ইউনিয়নে গণিত শিক্ষকের জরি হারি টাকা দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষকের মালিকানা বাহিনীর হাতে এসেছে। পড়ুন বিস্তারিত নিউজ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে প্রভাশালী কর্তৃক এক স্কুল শিক্ষকের জরি হারি টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (০৩ মে '২৫) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বল্লভপুর গ্রামের মনোরঞ্জন দাশের ছেলে আনুলিয়া পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) শুকদেব কুমার দাশ।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০২২ সালের ৩১ অগষ্ট বল্লভপুর ও আনুলিয়া মৌজায় নারগিছ সুলতানা (দিবা) এর নিজ নামীয় রেকর্ডীয় ২একর ৩২ শতক সম্পত্তি কোবলামূলে খরিদ করি। যার কোবলা নং-৩৫৬৩। পরবর্তীতে আমি উক্ত জমি আমার নিজ নামে নামপত্তন করে সরকারের ধার্যকর পরিশোধ করে আসছি। উক্ত জমি বল্লভপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সবুরের ছেলে জি.এম হাসান ইমরানের চিংড়ি ঘেরের মধ্যে থাকায় আমি গত তিন বছর ধরে কোন হারির টাকা পাইনা। হাসান ইমরান জোরপূর্বক ওই জমি ভোগ দখল করতে থাকায় আমি স্থানীয় গ্রাম্য আদালতে একটি অভিযোগ করি। গ্রাম্য আদালতের বিচারক আনুলিয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল কুদ্দুস বিষয়টি নিয়ে শুনানী করেন। শুনানীঅন্তে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমাকে (শুকদেব কুমার দাশ) জমির দখল বুঝে দেওয়া এবং বাকী হারির টাকা দেওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ প্রদান করেন।
শুকদেব কুমার দাশ বলেন, গ্রাম্য আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি গত ১লা জানুয়ারি চেয়ারম্যান নিজ উপস্থিত থেকে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে আমাকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। তখন থেকে আমি উক্ত জমিতে মৎস্য চাষ করিতে থাকি। এমতাবস্থায় হাসান ইমরানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী ও চোরাকারবারীদের নিয়ে গত ১৮ মার্চ রাতে আমার ঘেরের ভেড়িবাঁধ ভেঙ্গে একাকার করে দেয়। পরের দিন সকালে আমি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করিলে তারা আমাকে পুনরায় ঘেরের ভেড়ি মেরামত করার নির্দেশ দেন। আমি তাদের কথামতো পুনরায় ঘেরের ভেড়ি নির্মাণ করে ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছি।


তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিজের ক্রয়কৃত জমিতে ঘের করায় পরসম্পদ লোভী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু ও এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী জি.এম হাসান ইমরান কোন উপায়ন্তর না পেয়ে আমার স্ত্রী, ছোট ছেলে ও আমার বিরুদ্ধে গত ২৪ মার্চ সাতক্ষীরা আমলী ৮নং আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজী ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। যার তদন্ত পিবিআই এর উপর ন্যাস্ত করেছেন আদালত। আপন বোনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করায় আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে হাসান ইমরান আমাকে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এহেন জঘন্যতম মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেছে। মিথ্যে মামলা করে ক্ষ্যান্ত হয়নি সে আমার ঘের পুনরায় দখল করে নেওয়া পায়তারা চালাচ্ছে। তার অব্যহত হুমকি ধামকিতে আমি ও আমার পরিবার সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।


তিনি যাতে ক্রয়কৃত সম্পত্তির তিন বছরের হারি বাবদ ৩ লাখ টাকা ফেরত পান ও সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে হয়রানিমূলক মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা থেকে অব্যহতি পেতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, পি.বি.আই, জেলা পুলিশ সুপার, ভূমি উপদেষ্টা ও মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

Nema komentara


News Card Generator