close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরায় নারীর বাড়িতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে জবাবদিহিতা প্রদানের দাবিতে যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদে এক নারীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের প্রত্যক্ষ মদদে এক নারীর বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২১ মে '২৫) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের খোকন সরদারের স্ত্রী নুর নাহার বিউটি এই অভিযোগ করেন।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহাগ হোসেন গত ১৭ মে বেলা ১০ টার দিকে আশাশুনির চাপড়া পার্কের ভিতরে ডেকে আমাদের জমিজায়গা জের ধরে আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে সোহাগ আমারসহ পরিবারের সদস্যদের উক্ত জমি হতে উচ্ছেদ করে দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে চলে যায়।


এঘটনার জের ধরে ২১ মে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সোহাগ হোসেনের নেতৃত্বে দক্ষিন চাপলা গ্রামের মৃত সোহারাব আলী সরদারের ছেলে মোঃ আমিরুল ইসলাম (বাবুল (৪৫), মোঃ শাহিনুর ইসলাম (৪০) ও মোঃ মিজানুর রহমান (৪৮), মৃত হান্নান সরদারের ছেলে  মোঃ ওলিউল (৪০) ও মোঃ ছোট বাবু (৩৫), আমিরুল ইসলামের ছেলে মোঃ শিশির হোসেন ইমন (২৫) ও মোঃ স্বাধীন হোসেন (২২), মোঃ মিজানুর রহমানের ছেলে মোঃ আবির হোসেন (২৫) ও মোঃ জাকির হোসেন (২৩)  হাতে বাশের লাঠিসোঠা, লোহার রড, ধারালো দা ও দেশীয় অস্ত্র-শাস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির ভিতরে অনাধিকার প্রবেশ করে আমাদেরকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা আমারসহ পরিবারবর্গদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর ফোলা জখম প্রাপ্ত করে।


নুর নাহার অভিযোগ করে বলেন, উল্লেখিতরা আমার বাড়ির উপরে থাকা বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি কাটে ও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে। পরে বসত ঘর ভাংচুর করে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে আমার ঘরে আলমারিতে রক্ষিত নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও আলমারিতে থাকা ৩ ভরি ওজনের বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণে গহনা যার মূল্য ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়। এ সময় তারা আমার ও পরিবারবর্গদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও ক্ষয়ক্ষতি করবে, রাস্তাঘাটে একলা পেলে হাত ও পা ভেঙ্গে পুঙ্গ করবে এবং  বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করলে আমার পরিবারবর্গদের হত্যার হুমকি ধামকি প্রদান করে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে।


তিনি আরো বলেন, আমি আাশাংকা করছি যে, উক্ত বিবাদীগনের হুমকির কারণে আমার ও আমার পরিবারবর্গদের জান ও মালের যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। পরবর্তীতে আমরা উক্ত বিষয়টি নিয়ে আশাশুনি থানাতে মামলা করতে গেলে যুবদল নেতা সোহাগ হোসেনের ক্ষমতার প্রভাবে  মামলা না নিয়ে থানা হতে তাড়িয়ে দেয়।


তিনি এ ঘটনায় উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Geen reacties gevonden