সাতক্ষীরায় দখল ও সন্ত্রাসী হামলা: মৃত নূরুল ইসলামের পরিবারের অভিযোগ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষ দক্ষিন চাপড়া গ্রামের জাকির হোসেন গংয়ের বিরুদ্ধে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা :

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে প্রতিপক্ষ দক্ষিন চাপড়া গ্রামের জাকির হোসেন গংয়ের বিরুদ্ধে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক দখল ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে '২৫) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে মোছাঃ অনজিলা খাতুন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান তার বোন বিলকিস খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশাশুনির চাপড়া মৌজার জে.এর নং-২৯, বি.আর.এস ৯৯৬ নং খতিয়ানের হাল ২৬৯০ দাগে ১৫.৫০ শতক এবং বি.আর.এস ৪৬৭ খতিয়ানের হাল ২৬৯০ দাগে ৩ শতক মিলে  ১৮.৫০ শতক সম্পত্তি ক্রয়সূত্রে মালিক আমার পিতা মৃত নূরুল ইসলাম ও ভাই নূরনবী গণ। তারা ২০০৫ সালের ১৭ মে রেজিঃ কোবলা ১৯০৫ নং দলিল মূলে ৩ শতক এবং ১৯৯৫ সালের ২ জুন ২২৪৮ নং দলিল মূলে ১৭.৫০ শতক জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমিতে বসত ভিটা নির্মান করে, পুকুর কেটে, চারা গাছ গাছালী লাগিয়ে আমরা ভোগ দখলে আছি। আমার পিতার অংশ ১৭ শতক জমির মধ্য হইতে ২ শতক জমি আমার পিতা নুরুল ইসলাম, দাদা মুঃ সোহরাব সরদারকে দানপত্র করে দেন। আমার দাদা জীবিত থাকাকালীন উক্ত ২ শতক জমি উভয় পক্ষের যাতায়াতের জন্য পূর্ব/পশ্চিম লম্বা করে তাকে বুঝিয়ে দেয়। তার পর থেকে দীর্ঘ ১০ বৎসর যাবৎ শান্তিতে বসবাস করাকালীন এক পর্যায়ে আমার পিতা নূরুল ইসলাম মারা যায়। আমাদের একমাত্র অভিভাবক ভাই নূরনবী বিদেশে থাকায় আমরা কয়েকজন মহিলা বাড়ীতে বসবাস করছি। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগে স্থানীয় চাঁদাবাজ ও পরসম্পদ লোভী দক্ষিন চাপড়া গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে আবীর হোসেন (২৫) ও জাকির হোসেন (২৩), আমিরুল ইসলামের ছেলে শিশির ইমন (২৮), মৃত সহরাফ সরদারের ছেলে শাহিনুর রহমান (৪০), আমিরুল ইসলাম (বাবুল) (৪৫) ও  কহুল আমিন (৬০), এবং  মৃত জলিল সরদারের ছেলে শহিদুল (৫০) আমাদের মারপিট করে পাকা ঘর বাড়ী ভেঙ্গে ভিটা বাড়ী দখলের চেষ্টা করলে আমি বাদী হয়ে অতিঃ জেলা ম্যাজিঃ আদালতে একটি মামলা করি। ( নং পিঃ- ৮৩/২৫ ধারা-১৪৫)। উক্ত মামলার আদেশ প্রদত্ত হয়ে থানা কর্তৃপক্ষ বিবাদীদের নোটিশ করে এবং উভয় পক্ষকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।


বিলকিস খাতুন আরো বলেন, উক্ত আদেশ অমান্য করে তারা সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে উক্ত সম্পত্তিতে মাটি ফেলে রাস্তা নির্মানের চেষ্টা করলে তাদেরকে বাধা প্রদান করি। একইসাথে থানা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করলে থানা কর্তৃপক্ষ জমি জমার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলে জানায়। স্থানীয় নেতা সোহাগ, শহিদুল ও মিজানুরদের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় থানাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোন প্রকার সহযোগিাত পাচ্ছি না। তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ কার কাছে গেলে বিচার পাবো বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।


তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ মে উল্লেখিত বিবাদীগণ মিমাংশার কথা বলে আমাদের ডেকে বুধবারের মধ্যে ঘরবাড়ি ভেঙে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তা না করলে আমাদেরকে মারপিট করে পাকা ঘরবাড়ী ভেঙ্গে জমি দখল করে রাস্তা বানাবে বলে হুমকি দিয়েছে। যে কোন মূহুর্তে তারা আমাদের ১৮.৫০ শতক জবর দখল করতে পারে। ফলে তাদের ভয়ে তিনিসহ পরিবারের মহিলারা সকলেই নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। তিনি এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


সংবাদ সম্মেলনে মোছাঃ অনজিলা খাতুন, তার ভাবি বিউটি আক্তার ও তাদের মাতা জরিনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

Nessun commento trovato


News Card Generator