শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার নুনগোলা গ্রামে সোমবার (২৩ জুন '২৫) গভীর রাতে বিএনপি নেতা এমএ হাসানের বাড়িতে একটি দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা চেতনানাশক স্প্রে করে বাড়ির সিঁড়ি ঘরের গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা আলমারি ও শোকেজের তালা ভেঙে নগদ দুই লাখ টাকা, ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, দলিল, চেক চুরি করে নিয়ে যায়।
এমএ হাসানের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, মঙ্গলবার (২৪ জুন '২৫) ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরের সবকিছু অগোছালো এবং তছনছ করা। চোরেরা বাড়ির সবকিছু তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর, মর্জিনা খাতুন ও তার স্বামী এমএ হাসান অচেতন অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এমএ হাসানের ভাই আব্দুস সালাম জানান, তার ভাই এবং ভাবী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। চুরি হওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও ছিল, যা তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত জরুরি ছিল।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামিনুল হক জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে চোরেরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ চোরদের শনাক্ত করতে এবং দ্রুত তাদের গ্রেফতার করার জন্য কাজ করছে।
এ ধরনের ঘটনা এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এলাকায় চুরির ঘটনা বাড়ছে, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের চুরির ঘটনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা বিশ্লেষক রেজাউল করিম বলেন, "এই ধরনের চুরির ঘটনা প্রতিরোধে বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধ প্রতিরোধ করা সম্ভব।"
এই চুরির ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে আলোচনা চলছে এবং অনেকেই এ ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কারণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছে।