close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরা সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
সাতক্ষীরা সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা : 

সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাবিবুর রহমান হাবিবকে (৫৫) একটি হত্যা মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার (০৮ মে '২৫) দুপুরে সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে হাবিবুর রহমান একটি হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। 

সাংবাদিক হাবিবুর রহমান আশাশুনি উপজেলার মহাজনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র ও সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক।
 
মামলা সূত্র জানা যায়, হাবিবুর রহমান এর আগে একই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে (হাইকোর্ট) থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তিনি আদালতে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, দেবহাটার খলিশাখালী এলাকায় ১৩২৮ বিঘার একটি চিংড়ি ঘরের জমি সরকারী খাস হিসেবে দাবী করে গত কয়েক বছর স্থানীয় ভূমিহীন নামধারী একটি গ্রুপের সাথে জমি মালিকদের বিরোধ চলে আসছিল। বেশ কয়েকিবার ঘেরটি দখল পাল্টা দখলের ঘটনা ঘটে।

গত ৫ আগষ্টের পর ঘেরটি দখলের জন্য সস্ত্রাসীরা প্রকাশ্য অস্ত্রের মহড়া চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে গত ১ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। 

অভিযানের সময় গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। অভিযানে ১৫টি হাতবোমা, ৫টি দেশীয় দা, আগেয়াস্ত্র ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় এবং ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনার কয়েক দিন পর নিহত কামরুল ইসলামের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে স্থানীয় জমির মালিকদের পাশাপাশি সাংবাদিক হাবিবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিক হাবিবুর রহমানের আইনজীবী আব্দুল মজিদ জানান, উচ্চ আদালতের জামিন শেষে হওয়ায় তার মক্কেল নিম্ন আদালতে বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তার জানান, মর্জিনা খাতুন একজন অসহায় ও দরিদ্র নারী। যিনি তার স্বামীকে হত্যার মাধ্যমে তাকে হারিয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে চরম মানবতর জীবনযাপন করেছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা বিজ্ঞ আদালতের কাছে আবেদন করি যাতে অভিযুক্তকে জেল হাজতে রাখা হয়। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

Inga kommentarer hittades


News Card Generator