সাতক্ষীরায় যুব নেতৃত্বে সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ নিরসন নিয়ে সংলাপ..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নে যুব নেতৃত্বে সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ নিরসনে ধর্মীয় নেতাদের সাথে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নে রবিবার (২৯ জুন '২৫) একটি গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধি এবং দ্বন্দ নিরসন। এই সংলাপটি আয়োজিত হয় ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে, যেখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো এর বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব নেতৃত্বে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান।

সংলাপের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. তহিদুজ্জামান সংলাপের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতির জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

এই সংলাপের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা এবং স্থানীয় পর্যায়ে দ্বন্দ নিরসনের উপায় খুঁজে বের করা। বক্তারা উল্লেখ করেন, সমাজে শান্তি বজায় রাখার জন্য সকলের একসাথে কাজ করা জরুরি। দ্বন্দ নিরসনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সামাজিক মূলধন বিকাশ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সবুজ পৃথিবী যুব সংঘের সভাপতি শিহাব সিদ্দীকি, লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের সাধারন সম্পাদক নুরজাহান খাতুন প্রমুখ। বক্তারা সামাজিক সংহতির জন্য ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং যুবদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

সংলাপে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল কিভাবে ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি ও দ্বন্দ নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারেন এবং যুবদের মাধ্যমে সমাজের শান্তি রক্ষায় কোন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়। এছাড়া, সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে একটি সমন্বিত প্লাটফর্ম তৈরির প্রস্তাবনা উঠে আসে।

এই সংলাপের মাধ্যমে একটি সমন্বিত কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে সামাজিক শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রচেষ্টা করা হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সংহতি বজায় রাখতে এবং যুবদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली