close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাতক্ষীরার আবাদের হাটে মুদি দোকানে চুরি: সিসিটিভি ফুটেজে চোর সনাক্ত..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা avatar   
শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার আবাদের হাটে একটি মুদি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে চোর সনাক্ত হয়েছে বলে স্থানীয় জনতা জানিয়েছে..

শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটে অবস্থিত মাস্টার মার্কেটের ইসলাম এন্টারপ্রাইজ নামক মুদি দোকানে চুরি সংঘটিত হয়েছে শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায়। দোকানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে চোরকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। স্থানীয় জনতা চোরের নাম রানা (২৫) বলে জানিয়েছে, যিনি শিয়াল ডাঙ্গা বাগপাড়া কলোনির বাসিন্দা আমজের আলীর ছেলে।

দোকানের মালিক আবু সাঈদ জানান, প্রতিদিনের মত শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার সময় দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় দোকান খুলে তিনি দেখেন দোকানের মালামাল অগোছালো, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গা এবং দোকানের টিনের চাল কাটা অবস্থায় রয়েছে। যদিও দোকানের কোন মালামাল চুরি হয়নি, তবে ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় ৭ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোর।

আবাদের হাট বাজার কমিটির সভাপতি এবং শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে চোরকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাজার এলাকায় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে, যা আইনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি। বাজারের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত নৈশ প্রহরীদের দায়িত্বের অবহেলার কারণেই এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে তারা মত প্রকাশ করেছেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে চোরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও বাজার কমিটি যৌথ উদ্যোগে বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

এই চুরির ঘটনাটি বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কিছু ব্যবসায়ী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, মাদকাসক্তদের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে এরকম চুরির ঘটনা বাড়তে পারে। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা বাজারের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের সাথে আলোচনা করছেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নৈশ প্রহরীদের দায়িত্ব আরও কঠোরভাবে পালন করা হলে এ ধরনের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली