সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছে পুলিশ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর (৩২) মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তসংশ্লিষ্টরা প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন। রাহনুমার কল্যাণপুরের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ এ
রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর (৩২) মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে তদন্তসংশ্লিষ্টরা প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন। রাহনুমার কল্যাণপুরের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ এবং তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তার স্বামীর ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, রাহনুমার বাসা থেকে তিনটি পুরোনো ডায়েরি ও একটি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে, যেগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। ফেসবুক বন্ধু ফাহিম ফয়সালের সঙ্গে রাহনুমার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি, মৃত্যুর আগে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর কেন তার স্বজন ও পরিচিতরা তাকে সাহায্য করতে উদ্যোগী হননি, সেটিও তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে। হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান জানান, শুক্রবার রাহনুমাদের বাসায় গিয়ে মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করা হয়। বাসার ভেতরে দুটি আলমারি বইয়ে পূর্ণ ছিল এবং স্বামী-স্ত্রীর অনেক কাপড়-চোপড় পাওয়া গেছে। তবে বাসায় কোনো নিয়মিত সেবনের ওষুধ পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মৃত্যুর আগের তিন দিনের সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্বামী সাইফুল আলম শাহীনের মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। ডায়েরির লেখা, সিসিটিভি ফুটেজ এবং ফোনের কথোপকথন বিশ্লেষণ করা হবে। সেখানে তাদের সম্পর্ক নিয়ে কোনো বক্তব্য রয়েছে কিনা এবং মৃত্যু নিয়ে কিছু লেখা হয়েছে কিনা, সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। রাহনুমা সারাহের মৃত্যু নিয়ে রহস্য আরও গভীর হওয়ায় তদন্ত দল রাহনুমাদের বাসাটি তালাবদ্ধ করে দিয়েছে এবং স্বামীর সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করেছে। সবকিছু বিশ্লেষণ শেষে মৃত্যুরহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে বলে তদন্ত দল আশাবাদী। গত মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিলের লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় সাংবাদিক রাহনুমা সারাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জিটিভিতে নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদী সদরে। রাহনুমা দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলেন। তার বাবা বখতিয়ার শিকদার মাইজদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
Ingen kommentarer fundet