এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু।
বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারদের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন ওঠে। এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ। এসব সমালোচনা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতেই টাফেলের শরণাপন্ন হচ্ছে বিসিবি।
এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, “সম্প্রতি আমরা আইসিসির সাবেক এলিট আম্পায়ার সাইমন টাফেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সে অনেক দেশের আম্পায়ারদের উন্নয়নে কাজ করেছে, এমনকি আইসিসির সঙ্গেও। গত ৪-৫ মাস ধরে তার সঙ্গে কথা বলছিলাম। বিষয়টি এখন বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমাদের তিন বছরের চুক্তি হচ্ছে।”
এই চুক্তির আওতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে কাজ হবে। এছাড়া সারা দেশে কাজ করার জন্য ১০-১৫ জন আম্পায়ার ট্রেনারও তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মিঠু। তিনি আরও বলেন, “টাফেল নিজেও এ প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন, মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসবেন। তবে এখনো চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। শিগগিরই পুরো প্রক্রিয়া গণমাধ্যমে তুলে ধরা হবে।”
সাইমন টাফেল খেলোয়াড় হিসেবে বড় কোনো পরিচিতি না পেলেও, আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন দারুণ সম্মানিত। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে জন্ম নেয়া এই সাবেক পেসার চোটের কারণে ক্যারিয়ার তাড়াতাড়ি শেষ করে আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
১৯৯৫ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিং শুরু করে মাত্র চার বছর পর, ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে অভিষেক হয় তার। ২০০০ সালে টেস্টেও আম্পায়ারিং করেন তিনি। দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য ২০০৩ সালে আইসিসির এলিট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হন টাফেল।
বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত টানা পাঁচবার আইসিসির 'আম্পায়ার অব দ্য ইয়ার' নির্বাচিত হন তিনি—যা এখনো একটি অনন্য রেকর্ড।
সাইমন টাফেল ক্যারিয়ারে মোট ৭৪টি টেস্ট, ১৭৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং থেকে অবসর নেন এবং পরে আইসিসির আম্পায়ার কোচ হিসেবে কাজ করেন।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			