close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাহায্য করতে চেয়ে ট্রা ম্প কে ফোন করেছিলেন পু তি ন

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পুতিন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে সাহায্য চাইলেও ট্রাম্প সেই প্রস্তাব ঘুরিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা তোলেন। শিগগিরই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির আভাস দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।..

পুতিনের ফোনে ট্রাম্পের চমকপ্রদ পাল্টা প্রস্তাব: “ইরানের নয়, আপনার ব্যাপারে আমার সাহায্যের দরকার” — চুক্তির ইঙ্গিতও দিলেন ট্রাম্প

বিশ্ব রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনার মুহূর্তে সামনে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে ফোন করেছিলেন—ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু ট্রাম্প সেই আলোচনাকে ঘুরিয়ে সরাসরি নিয়ে যান ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে।

ট্রাম্প বলেন, “ভ্লাদিমির আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমি কি আপনাকে ইরানের বিষয়ে সাহায্য করতে পারি?’ আমি তাকে জবাব দিলাম, ‘না, ইরানের বিষয়ে আমার সাহায্যের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আপনার বিষয়ে আমার সাহায্যের প্রয়োজন।’”

ট্রাম্পের এই মন্তব্য শুধু কূটনৈতিক অঙ্গনে নয়, পুরো বিশ্বজুড়েই আলোচনা তৈরি করেছে। একদিকে যখন রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রতা আন্তর্জাতিক রাজনীতিকে জটিল করে তুলছে, তখন পুতিনের পক্ষ থেকে ইরান প্রসঙ্গে সহায়তার প্রস্তাব এবং ট্রাম্পের সরাসরি ইউক্রেন ইস্যু টেনে আনা নতুন মাত্রা তৈরি করেছে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প আরও জানান, তিনি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং সেখানেই রাশিয়ার সঙ্গে একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির ইঙ্গিত দেন। তার ভাষায়, “আমি আশা করি আমরা শীঘ্রই একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব। ইউক্রেনে যা ঘটছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। গত সপ্তাহেই ছয় হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে।”

তবে চুক্তির ধরন, আলোচনার অগ্রগতি বা এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। তার এই রহস্যময় ইঙ্গিত আরও বেশি কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের কথাবার্তা শুধু তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারই আভাস দিচ্ছে না, বরং তা তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবেও কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্প আন্তর্জাতিক কূটনীতিকে আবারও নিজের রাজনৈতিক শক্তির অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। তার এই “চুক্তির” বার্তা শুধু বাইরের দিকেই নয়, দেশের অভ্যন্তরেও প্রভাব ফেলতে পারে।

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলেছে। রাশিয়া ঐতিহাসিকভাবে ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও, ইসরায়েল নিয়ে তার অবস্থান বরাবরই কৌশলগতভাবে সংযত। এই প্রেক্ষাপটে পুতিনের তরফ থেকে ট্রাম্পকে ফোন করে সহায়তা চাওয়া একটি বিরল ঘটনা, যা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে বড় বার্তা বহন করে।

অন্যদিকে, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান, এবং এতে রাশিয়ার অর্থনীতি ও সামরিক কাঠামো অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, “গত সপ্তাহে ছয় হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে” — এটি যুদ্ধের ভয়াবহতাকে নতুন করে তুলে ধরে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে ফের ক্ষমতায় ফিরে এলে রাশিয়ার সঙ্গে একটি "মেগা ডিল" হতে পারে, যার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর চেষ্টা করবেন তিনি। যদিও এ ধরনের চুক্তির শর্তাবলী কী হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

তবে ট্রাম্পের এই ঘোষণায় একটি বিষয় নিশ্চিতভাবে বোঝা যাচ্ছে—তিনি আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিকে ঘিরে নতুন করে নিজের অবস্থান শক্ত করতে মাঠে নেমেছেন।

Không có bình luận nào được tìm thấy