আশুলিয়ায় মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের জোন ইনচার্জের বিরুদ্ধে ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি।
আশুলিয়ায় মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের জোন ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে । মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের আশুলিয়া পল্লী বিদুৎ শাখার সকল গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে আশিকুর রহমান আশিক বর্তমানে লাপাত্তা রয়েছেন। আশিকুর রহমান আশিক দিনাজপুর জেলার আজির উদ্দিনের ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা আশুলিয়ার পলাশবাড়ি গ্রাম। তার ব্যক্তিগত একটি গাড়ি রয়েছে, যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো গ ১৫-২১২১
তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।
মানববন্ধনে গ্রাহকরা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে আশুলিয়ার পল্লী বিদুৎ এলাকায় স্থাপিত আশুলিয়া চক্ষু হাসাপাতালের ৪ তলায় মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের শাখা অফিস খুলে আশিকুর রহমান আশিক ইনসুরেন্সের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তার অফিসে প্রায় ৩৫ জন স্টাফ কর্মরত ছিলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন সময় নিজের ব্যবসার কথা বলে প্রতিটি স্টাফের কাছে থেকে চেক প্রদাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। হিসেব করে দেখা যায় এভাবে তিনি প্রায় ৩ কোটি হাতিয়ে নিয়ে গত ৯ /১১/২৫ তারিখ থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। এমনকি তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ দেখায়।
ভুক্তভোগী রিপন বলেন, আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলে জোন ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিক প্রায় ১১ লক্ষ টাকা নেয়। ভুক্তভোগী মিম আকতার বলেন, ব্যক্তিগত কাজের জন্য আমার কাছে থেকে তিনি কখনও ২০ হাজার কখনও ১০ করে এভাবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা নেন। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অফিস স্থায়ী রাখার জন্য প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন। ভুক্তভোগী এজিএম আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের সকল স্টাফদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত ব্যবসার কথা বলে লভাংশের টাকা নিয়ে কি করেছেন না করেছেন তা আমরা জানিনা। ভুক্তভোগী মায়া বলেন, ২০২২ সাল থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত আমি অফিস সহকারী হিসেবে এই অফিসে চাকরি করি। তারপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য অফিসে চাকরি নিয়ে চলে যায়। তারপর কিছুদিন পরে আমাকে ডেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন, এছাড়াও একবার ১০ হাজার টাকা নেন। ভুক্তভোগী আমির হোসেন বলেন, আমি এখানে ৬ বছর ধরে আশিক স্যারের সাথে কাজ করি। বিভিন্ন সময় স্যার আমাকে টার্গেট দিতেন এবং বলতেন এই টার্গেট পূরণ করতে পারলে খুব ভালো লাভ পাবেন। আমি স্যারের কথানুযায়ী টার্গেট পূরণে বিভিন্ন জন'কে ইনসুরেন্স করিয়ে মোটা অংকের টাকা এনে দিতাম। যে পরিমাণ টাকা এনে দিতাম টাকার সে পরিমাণ উল্লেখ করে প্রতিটি স্টাফ কে তিনি চেকের পাতা দিতেন এবং বলতেন আগামি ডিসেম্বরে আপনাদের সমস্ত টাকা ফেরত প্রদান করা হবে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১ জন আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আশুলিয়ায় ইনসুরেন্স গ্রাহকদের সঙ্গে ৩ কোটি টাকার প্রতা"রণা—জড়িত জোন ইনচার্জ
সাভারের আশুলিয়ায় মেঘনা লাইফ ইনসুরেন্সের জোন ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ কোটি টাকা প্রতার"ণার অভি"যোগ
#Ashulia #news #meghnalifeinsurance #Crime #newstoday #BreakingNews



















