close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

সাভারে সাংবাদিকের স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ, আ.লীগ নেতা মানিক ও তার বাহিনীর নারকীয় হামলা ..

Md Shanto Khan avatar   
Md Shanto Khan
সাভার প্রতিনিধি : 

 

 

সাভারে সাংবাদিক সালেহ আহমেদ-এর বাসভবনে সশস্ত্র হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, সাংবাদিক সালেহ আহমেদের স্ত্রী নাজমুন নাহারকে হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান মানিক ওরফে খামচি মানিক এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে।

গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ভাগলপুর এলাকার নিজ বাড়িতে পরিকল্পিত এই হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুন নাহার-কে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজীব-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেহেদী হাসান মানিকের নির্দেশে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা— সালেহ আহমেদের স্ত্রী নাজমুন নাহারকে বেধড়ক মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়, শ্লীলতাহানি করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে লাঞ্ছিত করে। গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল (মূল্য প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়, বাড়ির পানির ট্যাংকি কুপিয়ে নষ্ট করে, ১১টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলে, জমির গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও কাগজপত্র লুট করে নিয়ে যায়

পরিবারের দাবি, এটি শুধু হামলা নয়— পরিকল্পিত হত্যা মিশন ও সম্ভ্রমহানির আক্রমণ।

জানা যায়, এর আগেও মেহেদী হাসান মানিক ও তার সহযোগীরা একই পরিবারের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলের চেষ্টা চালায় এবং সে ঘটনায় আহত হন পরিবারের সদস্যরা। ঐ ঘটনায় একটি মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান।

মামলার প্রতিশোধ নিতেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

পরিবার আরও অভিযোগ করে, হামলার পর এখন উল্টো সাংবাদিক সালেহ আহমেদকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চক্রান্ত চালাচ্ছে অভিযুক্তরা, যাতে হামলাকারীরা আড়ালে থেকে যায়।

এদিকে হামলার খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ও আলামত সংগ্রহ করেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।

অভিযুক্তরা হলো, মেহেদী হাসান মানিক ওরফে খামচি মানিক (৩৮), খামচি মানিকের ভাই,
মুক্তার হোসেন (৩৪) মানিকের বাবা আলামিন হোসেন (৫৪) ও মানিকের স্ত্রী
তামান্না আক্তার ওরফে ডেঞ্জার তামান্না (৩২)। 
এছাড়াও অজ্ঞাত ৬–৭ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী এই হামলায় অংশ নেয়। 

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,  “আমাকে হত্যা করাই ওদের উদ্দেশ্য ছিল। মারধরের পাশাপাশি সম্ভ্রম নিয়ে খেলেছে। আমরা এখন নিরাপত্তা চাই, ন্যায়বিচার চাই।” বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় নাজমুন নাহার  হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়

এই ঘটনায় সাভারসহ সারাদেশের সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। সাংবাদিক নেতারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার, সুষ্ঠু তদন্তই
এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

没有找到评论


News Card Generator