close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
খুলনা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তার স্ত্রী ঊষা রাণী চন্দের পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা এক কোটি ৪৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৫ টাকা জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এই আদেশ দেন।
দুদকের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সাবেক মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর নামে সোনালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে একাধিক হিসাবের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এছাড়া, জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের অধীনে থাকা সঞ্চয়পত্র অ্যাকাউন্ট এবং মন্ত্রীর মালিকানাধীন কেপি ব্রিক ফিল্ড ও কনক্রিট ব্রিক্স অ্যান্ড ব্লকস ফ্যাক্টরির আর্থিক বিবরণী নিয়েও তদন্ত চলছে।
ফ্রিজ করা অর্থ উত্তোলন নিষিদ্ধ
আদালতের আদেশ অনুযায়ী, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে, যার অর্থ এই যে, এসব অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ জমা দেওয়া গেলেও কোনো অবস্থাতেই তা উত্তোলন করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অর্থ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
দুদকের তদন্ত ও পরবর্তী পদক্ষেপ
দুদকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করা অর্থ জব্দ করতে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়েছে।
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলমান রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখছে যে, আরও কী ধরনের অবৈধ সম্পদ তার নামে বা পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে রয়েছে। যদি নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়, তবে তা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে।
জনমনে প্রতিক্রিয়া
সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন এটি। তবে, কিছু মহল মনে করছে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
দুদক জানিয়েছে, যেকোনো ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত থাকবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
לא נמצאו הערות



















