close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
রোজার আগে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা: তেল-চালের সংকট, লেবু ও ব্রয়লারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
রমজান মাস সামনে রেখে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে অস্থিরতা বেড়েছে। বিশেষ করে তেল ও চালের বাজারে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া, লেবু ও ব্রয়লার মুরগির দামও লাফিয়ে বাড়ছে, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তেল-চালের বাজারে অস্থিরতা, সংকট কাটছে না
গত কয়েক মাস ধরে চাল ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। চালের বাজারে কেজিপ্রতি ৪-৬ টাকা বেড়েছে। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি, বরং আরও বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডিলার পর্যায়ে পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারের জব্বার স্টোরের বিক্রেতা বলেন,
"তেলের চাহিদা থাকলেও সরবরাহ কম। যেখানে ১০ কার্টুন প্রয়োজন, সেখানে মিলছে মাত্র ১টি। তাও কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে ডাল-আটা ও সুজির মতো অন্যান্য পণ্যসহ। এটি এক ধরনের বাজার নিয়ন্ত্রণের কৌশল।”
ভোক্তারা বলছেন, রমজানের আগে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত তেল থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে রোজায় দাম আরও বাড়ানো যায়।
চালের বাজারও অস্থির। বিভিন্ন ধরনের চালের দাম নিম্নরূপ:
✅ মিনিকেট: ৮০-৮৪ টাকা/কেজি
✅ আটাইশ: ৫৮-৬০ টাকা/কেজি
✅ মোটা স্বর্ণা: ৫২-৫৬ টাকা/কেজি
✅ নাজিরশাইল: ৭৬-৮৮ টাকা/কেজি
✅ পোলাও চাল: ১১৬-১১৮ টাকা/কেজি
মুরগি ও গরুর মাংসের বাজারও চড়া
শবে বরাত উপলক্ষে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এখন ২০০-২১০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী:
✅ সোনালি মুরগি: ৩০০-৩২০ টাকা/কেজি
✅ দেশি মুরগি: ৫৫০-৬০০ টাকা/কেজি
✅ সাদা লেয়ার: ২৪০ টাকা/কেজি
✅ লাল লেয়ার: ২৮০ টাকা/কেজি
এছাড়া, হাঁসের দাম জাতভেদে ৬০০-৬৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ১,০৫০-১,১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লেবুর দাম রেকর্ড উচ্চতায়, রমজানে আরও বাড়ার শঙ্কা
রমজান সামনে রেখে লেবুর দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
✅ প্রতি ডজন লেবু: ১৩০-১৮০ টাকা
✅ প্রতি হালি লেবু: ৪০-৫০ টাকা
কারওয়ানবাজারের লেবু ব্যবসায়ী গিয়াস বলেন,
"বাজারে লেবুর সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। রমজানে লেবুর চাহিদা আরও বেড়ে যাবে, ফলে দাম আরও বাড়তে পারে।”
নিয়ন্ত্রণহীন বাজার: ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি
নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দূর করতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি উঠেছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে তদারকি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে তারাও বিপাকে পড়ছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানের আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সাধারণ মানুষ আরও ভোগান্তিতে পড়বে।
Комментариев нет



















