সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, চিনির দাম ১ কেজি ৩২ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৮ টাকা। ছোলার দাম ১ কেজি ৬২ রুপি, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭৪ টাকা। আর ময়দার দাম ১ কেজি ৩১ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৭ টাকা। এই খাদ্য সামগ্রীগুলো বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে পাওয়া যাবে।
কারা পাবে এই সুবিধা?
এই বিশেষ প্যাকেজ আন্তোদয় অন্নযোজনা (Antyodaya Anna Yojana) ও বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্ডধারী পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ছয় কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন, যারা জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন।
চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা
রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতর আগেই ডিলারদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর পরিমাণ জানাতে বলেছিল। পরিবার প্রতি এক কেজি করে পণ্য সরবরাহের জন্য ডিলারদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তবে ডিলাররা বলেছিলেন, প্যাকেজের দাম না জানালে চাহিদা নির্ধারণ করা সম্ভব হবে না। পরে সরকার দাম নির্ধারণ করার পরেই পণ্য সরবরাহ শুরু হয়।
সরকারের উদ্যোগ
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এই বিশেষ প্যাকেজ দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের রমজানের খাদ্য চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। এতে বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাবে, যা সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেবে।
রমজানের সময় এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুখে হাসি ফোটাবে বলে আশা করা হচ্ছে।