রিমান্ডে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর! আদালতেই যা পরামর্শ দিলেন আনিসুল হক..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তবে, রিমান্ডের প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতেই তাকে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন সাব..

আদালতেই রিমান্ড কার্যকরের পরামর্শ আনিসুল হকের! কী ঘটেছিল?

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারকে সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তবে রিমান্ড শুরু করা নিয়ে আদালতেই তাকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক!

বুধবার সকাল ১০টায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল হকের আদালতে তোলা হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, সংসদ সদস্য ফারুক খান ও পুলিশের সাবেক এসপি তানভীর সালেহীন ইমনসহ অন্যান্য আসামিদের। সবাই পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় ও হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিলেন।

 সকাল ১০:০৮:
বিচারক এজলাসে আসার পরই শুরু হয় গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ড শুনানি। প্রথমে সাবেক এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর উত্তরার এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি মঞ্জুর করেন আদালত।


 দীপঙ্করের রিমান্ড শুনানি ও আনিসুলের পরামর্শ

এরপর শুরু হয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারের রিমান্ড শুনানি। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষ এই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে দীপঙ্কর তালুকদার তার আইনজীবীর কাছে জানতে চান,
"রিমান্ড কবে নেওয়া হবে?"

তবে আইনজীবী নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তখন দীপঙ্কর আইনজীবীকে আবার জিজ্ঞাসা করেন,
"আজকেই নেবে না?"

এ সময় পাশেই ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি দীপঙ্করকে সরাসরি পরামর্শ দিয়ে বলেন,

“আজকেই এখান থেকে (আদালত থেকেই) রিমান্ডে যেতে বলেন, কারণ কারাগার থেকে নিলে হয়রানি বেশি হবে।”

এরপর আইনজীবীকে ইশারায় বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তাকে জানানোর ইঙ্গিত দেন আনিসুল হক। আইনজীবী তখন জানান,
“জ্বী, আমি কথা বলছি।”


 গ্রেফতার ও মামলার পটভূমি

গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে দীপঙ্কর তালুকদারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। তবে মূল নথি না থাকায় সেদিনই রিমান্ড শুনানি হয়নি। পরে নথি পাওয়া গেলে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। সমাবেশকে পণ্ড করতে একই দিনে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। ওইদিন বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়, যাতে যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এই ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়।


 শেষ কথা:

সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদারের রিমান্ড শুরু নিয়ে আদালতেই যে কৌশলী পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা। আদালতেই এমন পরামর্শ দেওয়া কি স্বাভাবিক? নাকি এটি কোনো আইনি কৌশল? আপনার মতামত কী?

コメントがありません