দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফের বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক একটি বার্তা। বৃহস্পতিবার (আজ) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, দেশের নিট রিজার্ভ বর্তমানে ২,১৩৬ কোটি ডলার (২১ বিলিয়ন ডলারের বেশি), এবং একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২,৬২০ কোটি ডলারের ওপরে।
রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ
গত ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২৬২ কোটি ডলার বেড়েছে। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে থাকার ফলে এই ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে।
নভেম্বরের শেষে নিট রিজার্ভ ছিল ২,০১৮ কোটি ডলার এবং গ্রস রিজার্ভ ছিল ২,৪৯৭ কোটি ডলার। এক মাসের ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ২৬২ কোটি ডলার এবং গ্রস রিজার্ভ ১৭৪ কোটি ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
আকুর দেনা পরিশোধ ও রিজার্ভে প্রভাব
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু)-এর ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধের পর নিট রিজার্ভ কমে ১,৮৪৪ কোটি ডলারে নেমেছিল। তবে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের বৃদ্ধি রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে।
চলতি জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আকুর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের দেনা পরিশোধ করা হবে, যা সাময়িকভাবে রিজার্ভে প্রভাব ফেলতে পারে।
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা
গত ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ডিসেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ রেকর্ড ২৬৪ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। রপ্তানি আয়ও ক্রমবর্ধমান।
ডলারের প্রবাহ ও বৈদেশিক ঋণের স্থিতি
বাজারে ডলারের প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে বৈদেশিক ঋণের স্থিতি কমে আসছে। আগস্টে আমদানি খাতে বিদেশি ব্যাংকগুলোর কাছে বকেয়া ছিল ৩৭০ কোটি ডলার। গত পাঁচ মাসে ৩৩০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে এবং বাকি ৪০ কোটি ডলারও দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে এই রিজার্ভ বৃদ্ধির ধারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে ভবিষ্যতে আকুর পরিশোধ ও আমদানি চাপের ফলে রিজার্ভ কতটা প্রভাবিত হবে, তা নজরে রাখতে হবে।
Geen reacties gevonden