রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সভাপতি মো. ফরিদ আহম্মদের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ, মাদক ব্যবসা, সুদি কারবার এবং অবৈধ আবাসন প্রকল্প পরিচালনার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সাবেক মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের ঘনিষ্ঠতা ও সুজনের সম্মানজনক পদপদবি ব্যবহার করে এলাকায় এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফরিদ আহম্মদ তার ভাইদের সঙ্গে নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারী জমি—বন বিভাগ, সড়ক ও জনপথ (সওজ), কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও চন্দ্রঘোনাস্থ চাষী ফার্মের প্রায় ১০০ একর জায়গা দখল করেন। এসব জমিতে প্লট বাণিজ্য, দোকান, বাস টার্মিনাল নির্মাণসহ গৃহায়ন প্রকল্প চালু করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে ভূয়া নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র নিয়ে কোটি টাকার প্রতারণা করেন ফরিদ ও তার সহযোগীরা।
সিন্ডিকেট গঠনের অংশ হিসেবে ফরিদ আহম্মদ তার ছোট ভাইকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে বসিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেন এবং পুরো এলাকার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেন।
তার অপর ভাই জমির উদ্দিন এলাকার চন্দ্রঘোনা, লিচুবাগান ও দোভাষী বাজারে সুদি ব্যবসা (দাদন) চালিয়ে আসছেন। এতে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। অত্যধিক সুদের কারণে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে দিতে বাধ্য হন।
এছাড়া এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই চক্রটি মাদক ব্যবসা এবং পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস করে অবৈধ স্থাপনা গড়ার সাথেও জড়িত।
ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষ ও সচেতন নাগরিক সমাজ এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



















