close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

রাজনৈতিক সহিংসতার বলি ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
রাজনৈতিক সহিংসতার বলি ছাত্রদল কর্মী ঈসমাইল

রিপোর্ট মেহেদী হাসান: নরসিংদীর পলাশে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন ঈসমাইল হোসেন (২৬)। দীর্ঘ ছয় দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শেষে শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর মহল্লার বাসিন্দা ও পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী ঈসমাইল—ছিলেন তরুণদের মাঝে জনপ্রিয় এক মুখ। স্থানীয় রাজনীতিতে তার সরব উপস্থিতি ও সংগঠনের প্রতি নিবেদনের জন্য দলের ভেতরে বাইরে তাকে নিয়ে আলোচনার কমতি ছিল না।

নিহতের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, “সে রাজনীতি করত ঠিক, কিন্তু গায়ের জোরে নয়—শান্তিপূর্ণ রাজনীতি। অথচ তাকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এখন শুধু একটাই দাবি—ন্যায়বিচার।”

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুন পলাশে ছাত্রদলের একটি মিছিলে অতর্কিত হামলা ও গুলির ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন।
ঈসমাইল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।

ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার অনুসারীরাই শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালান। পলাশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর পাপন জানান, “ঈসমাইল আমাদের সংগঠনের একজন অগ্রগামী কর্মী ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। জড়িতদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, গ্রুপিং ও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব এ ধরনের ঘটনার পেছনে মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। তারা বলছেন, “রাজনৈতিক সহনশীলতা না ফিরলে এমন মৃত্যুর মিছিল থামানো কঠিন হয়ে পড়বে।”

ঈসমাইলের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে বইছে শোক। আজ রাতেই ঘোড়াশালে তার দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। তার অকাল মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থার বড় এক ধাক্কা বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।

পলাশ থানা পুলিশ জানায়, “এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”

Aucun commentaire trouvé