আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফোরাম’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে এসব মন্তব্য করেন ড. ইউনূস। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে জানান, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। তবে সময় নির্ধারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সংস্কার চাহিদার উপর নির্ভর করবে।
ড. ইউনূস বলেন, “সরকার চায় ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি বড় ধরনের সংস্কার চায়, তাহলে তা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। সেই ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।”
তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে চাইলে অনেক কিছু দ্রুত করতে হবে। তবে ভালোভাবে, দীর্ঘস্থায়ী সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরের পরে আরও অন্তত ৬ মাস সময় দরকার।”
এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি একদিকে যেমন নিজের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা তুলে ধরলেন, তেমনি অন্যদিকে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানালেন বাস্তবসম্মত সংস্কারের রূপরেখা দিতে।
ড. ইউনূসের এই মন্তব্য নির্বাচনী পরিবেশ, সময়সীমা এবং জাতীয় সংলাপকে ঘিরে চলমান আলোচনা ও চাপের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তাঁর মতে, নির্বাচন একটি প্রক্রিয়া—এটি শুধু সময় নির্ধারণের বিষয় নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ কাঠামো নির্মাণেরও প্রশ্ন।