close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

রাজধানীতে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১০

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাতের আঁধারে রাজধানীর আগাসাদেক রোডে হঠাৎ নেমে আসে সেনাবাহিনী। ৫টি দোকান ঘিরে চলে অভিযান। ফলাফল—হাজার বোতল সালসা, ধরা পড়লো ১০ মাদক ব্যবসায়ী! ৪ বছর ধরে চলছিল এই ভয়ঙ্কর কারবার। বিস্তারিত জানলে আপনি স্তব্..

রাজধানীতে সালসা মাদকের গোপন সাম্রাজ্য: সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযানে ধরা খেলো ১০ জন

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত শহরের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এক ভয়ঙ্কর মাদকের সাম্রাজ্য। আগাসাদেক রোডের পাঁচটি দোকান ছিল এর কেন্দ্রবিন্দু। বছরের পর বছর সাধারণ ব্যবসার আড়ালে এখানে বিক্রি হতো ‘সালসা’ নামের বিপজ্জনক তরল মাদক। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে সেই গোপন ব্যবসায় নামানো হয় সেনাবাহিনীর আঘাত।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেডের অধীন ৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে তারা ১,৯৭৮ বোতল সালসা, একটি মোটরসাইকেল এবং ১০ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

৪ বছর ধরে চলছিল এই ‘সালসা কারখানা’

আটক মাদক ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা প্রায় চার বছর ধরে এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত কেরানিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাইকারি দামে সালসা সংগ্রহ করে তারা আগাসাদেক রোডের দোকানগুলোতে মজুদ করতেন। সন্ধ্যার পর দোকানগুলো হয়ে উঠতো জমজমাট মাদক হাট।

দুধে মিশিয়ে ‘সালসা’ সেবন, দোকানে ব্লেন্ডারও প্রস্তুত!

এই সালসা তরল মাদক সাধারণত দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হতো যাতে মাদকের তীব্রতা কিছুটা হালকা লাগে এবং টিনএজার ও যুবকদের জন্য সহজলভ্য হয়। দোকানগুলোতে রাখা ছিল বিশেষ ব্লেন্ডার মেশিন—সরাসরি মিশ্রণ তৈরির জন্য। দেখে মনে হতো যেন সাধারণ কোনো শেক বার, কিন্তু ভেতরে চলতো ভয়ঙ্কর কাজ।

অল্পবয়সী যুবক ছিল প্রধান টার্গেট

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই দোকানগুলোতে মাদক সেবন করতে যারা আসতো তাদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী যুবক—স্কুল, কলেজ বা বেকার তরুণ। দীর্ঘদিন ধরে তারা এখানে মাদক সেবনের অভ্যাস গড়ে তোলে। এটি শুধু ব্যক্তি নয়, সমাজকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।

অপারেশন সফল, তদন্ত অব্যাহত

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় আরও বিস্তৃত করা হবে। মাদক নির্মূলে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


রাজধানীতে সালসা মাদকের গোপন সাম্রাজ্য: সেনাবাহিনীর ঝটিকা অভিযানে ধরা খেলো ১০ জন

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত শহরের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এক ভয়ঙ্কর মাদকের সাম্রাজ্য। আগাসাদেক রোডের পাঁচটি দোকান ছিল এর কেন্দ্রবিন্দু। বছরের পর বছর সাধারণ ব্যবসার আড়ালে এখানে বিক্রি হতো ‘সালসা’ নামের বিপজ্জনক তরল মাদক। মঙ্গলবার (২৭ মে) রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে সেই গোপন ব্যবসায় নামানো হয় সেনাবাহিনীর আঘাত।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেডের অধীন ৫ বীর সাপোর্ট ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে তারা ১,৯৭৮ বোতল সালসা, একটি মোটরসাইকেল এবং ১০ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে সক্ষম হয়।

৪ বছর ধরে চলছিল এই ‘সালসা কারখানা’

আটক মাদক ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তারা প্রায় চার বছর ধরে এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মূলত কেরানিগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে পাইকারি দামে সালসা সংগ্রহ করে তারা আগাসাদেক রোডের দোকানগুলোতে মজুদ করতেন। সন্ধ্যার পর দোকানগুলো হয়ে উঠতো জমজমাট মাদক হাট।

দুধে মিশিয়ে ‘সালসা’ সেবন, দোকানে ব্লেন্ডারও প্রস্তুত!

এই সালসা তরল মাদক সাধারণত দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হতো যাতে মাদকের তীব্রতা কিছুটা হালকা লাগে এবং টিনএজার ও যুবকদের জন্য সহজলভ্য হয়। দোকানগুলোতে রাখা ছিল বিশেষ ব্লেন্ডার মেশিন—সরাসরি মিশ্রণ তৈরির জন্য। দেখে মনে হতো যেন সাধারণ কোনো শেক বার, কিন্তু ভেতরে চলতো ভয়ঙ্কর কাজ।

অল্পবয়সী যুবক ছিল প্রধান টার্গেট

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই দোকানগুলোতে মাদক সেবন করতে যারা আসতো তাদের বেশিরভাগই অল্পবয়সী যুবক—স্কুল, কলেজ বা বেকার তরুণ। দীর্ঘদিন ধরে তারা এখানে মাদক সেবনের অভ্যাস গড়ে তোলে। এটি শুধু ব্যক্তি নয়, সমাজকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।

অপারেশন সফল, তদন্ত অব্যাহত

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় আরও বিস্তৃত করা হবে। মাদক নির্মূলে এমন অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।


উপসংহার

এই অভিযানে স্পষ্ট হয়েছে, শহরের বুকের ভেতর কতটা সুসংগঠিতভাবে মাদক ব্যবসা চলছে—যার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি। সালসা সাম্রাজ্য ধ্বংস হলেও প্রশ্ন রয়ে গেছে—আর কত দোকানে চলছে এমন বিষের বাণিজ্য?

এই অভিযানে স্পষ্ট হয়েছে, শহরের বুকের ভেতর কতটা সুসংগঠিতভাবে মাদক ব্যবসা চলছে—যার বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভূমিকা এখন সময়ের দাবি। সালসা সাম্রাজ্য ধ্বংস হলেও প্রশ্ন রয়ে গেছে—আর কত দোকানে চলছে এমন বিষের বাণিজ্য?

Tidak ada komentar yang ditemukan