close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

বন্দরে শহীদ স্বজনের মৃত্যুবার্ষিকী: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আত্মত্যাগের ১ বছর!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শহীদ আবুল হাসান স্বজনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারীদের চোখে ছিল শ্রদ্ধা, হৃদয়ে ছিল প্রতিজ্ঞা—বৈষম্যের বিরুদ্..

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় আজ পালিত হলো বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া তরুণ ছাত্রনেতা আবুল হাসান স্বজনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। রোববার (৬ জুলাই) সকালে নবীগঞ্জের বাগে জান্নাত কবরস্থানে তার কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শহীদ স্বজন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সাহসী মুখ, যিনি ছাত্রদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বিসর্জন দেন। তার মৃত্যুর এক বছর পূর্তিতে আজ কবর জিয়ারত করতে ছুটে আসেন আন্দোলনের বর্তমান নেতৃত্ব ও তার পরিবার।

উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শহীদ স্বজনের বড় ভাই আবুল বাশার অনিক। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব হৃদয় ভূঁইয়া, বন্দর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক তানবীর জিসান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সংগঠক ফারহান আল ফায়াদ পরশ ও তানজিল ভূঁইয়া শিথিল।

এছাড়াও বন্দর উপজেলা শাখার মুখ্য সংগঠক মোঃ স্বাধীন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ মুশফিকুর রহমান সামি এবং মোঃ ফাহিম প্রমুখ সেখানে উপস্থিত থেকে শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

অনুষ্ঠানে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় শহীদ আবুল হাসান স্বজনের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায়। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “স্বজনকে হারিয়ে আমরা শোকাহত, কিন্তু তার আদর্শকে ধারণ করে চলেছি। সে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে — আমরা তার পথ অনুসরণ করবো।”

দোয়ার সময় উপস্থিত অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। শহীদের বড় ভাই অনিক আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, “আমার ভাই শুধু আমাদের পরিবারের নয়, পুরো প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”

আন্দোলনের নেতারা ঘোষণা দেন—শহীদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। বৈষম্য, নিপীড়ন আর অনাচারের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, তা জোরালোভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।

সদস্য সচিব হৃদয় ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বৈষম্যের শেকল ভাঙতে এসেছি। শহীদ স্বজনের আত্মত্যাগ আমাদের শক্তি। আমরা তার স্বপ্নের সমাজ গড়ব।”

আহ্বায়ক তানবীর জিসান বলেন, “আজ শুধু শোক নয়, এটা লড়াইয়ের দিন, প্রতিজ্ঞার দিন। তার রক্তের বিনিময়ে যে বার্তা এসেছে, আমরা তা বাস্তবায়ন করেই ছাড়বো।

শহীদ স্বজনের মৃত্যুবার্ষিকীতে কেবল একজনের কবর জিয়ারত হয়নি — পুনর্জাগরণ হয়েছে একটি আদর্শের, একটি আন্দোলনের। বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ তুলেছিল এক তরুণ, আজ তার সেই চিৎকার ছড়িয়ে পড়েছে আরও বহু তরুণের কণ্ঠে।

Không có bình luận nào được tìm thấy