পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বি স্ফো রক দাবি: ই রান কে পার মাণ বিক সহযোগিতায় আগ্রহী বহু দেশ!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের ঘনিষ্ঠ মেদভেদেভ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে শুধু আগুন নয়, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ..

বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ প্রশ্ন—তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি আসন্ন? ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র যখন সরাসরি সামরিক অভিযানে জড়ায়, তখন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে দেশটির নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ স্পষ্ট বার্তা দিলেন—ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত অনেক দেশ।

গত শনিবার (২২ জুন) রাতের বুকে ইরানের ফর্দো, নাতান্জ ও ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর ভয়াবহ ক্লাস্টার বোমা হামলা চালায় মার্কিন বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান। এই অভিযানকে মার্কিন সামরিক বাহিনী কোডনেম দেয় "অপারেশন মিডনাইট হ্যামার।

এই অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে একে “অসাধারণ সামরিক সাফল্য  বলে আখ্যা দেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, "শান্তি না এলে ইরানের জন্য আরও বড় ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে।" তাঁর ভাষ্য, ইরানকে দেওয়া বার্তাটি ছিল স্পষ্ট: "আমরা নির্ভুলতা, দ্রুততা ও দক্ষতায় পরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানব।

এই হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেল ও এক্স (পূর্বতন টুইটার) পোস্টে লেখেন—

এই দায়িত্বজ্ঞানহীন হামলা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো পৃথিবীকেই ঠেলে দিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে।

তিনি আরও দাবি করেন, "বিশ্বের অনেক দেশ এখন ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে প্রস্তুত।" তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রাসন ইরানকে প্রতিশোধ নিতে বাধ্য করবে, আর তখন মধ্যপ্রাচ্য শুধু আগুনে জ্বলবে না, সেটা ছড়িয়ে পড়বে বৈশ্বিকভাবে।

নিজেকে শান্তির দূত বলে দাবি করা ট্রাম্প, আজ নিজেই যুক্তরাষ্ট্রকে একটি নতুন যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিলেন। ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আমেরিকা কী পেলো? তেমন কোনো ক্ষতিই হয়নি ইরানের। কিন্তু শুরু হলো এক ভয়ানক যুদ্ধ।

এ ধরনের সাফল্যের জন্য এবার আর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার স্বপ্ন না দেখাই ভালো। অভিনন্দন, মি. প্রেসিডেন্ট—এত বড় যুদ্ধের সূচনার জন্য!

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের বিষয় হলো— ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা। যদি এই সহযোগিতা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্য এক ভয়ঙ্কর পারমাণবিক প্রতিযোগিতার কবলে পড়তে পারে।

অনেকে বলছেন, এটি ১৯৬২ সালের কিউবান মিসাইল ক্রাইসিসের পর পৃথিবীর সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরমাণু উত্তেজনা।

বর্তমানে বিশ্ব এমন এক মোড়ের দিকে এগিয়ে চলেছে, যেখানে একেকটি সামরিক পদক্ষেপ গোটা মানবজাতির জন্য অজানা দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, ইরানের প্রতিশোধের ঘোষণা, আর যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাব—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেন আগ্নেয়গিরির মুখে দাঁড়িয়ে।

সার্বিক পরিস্থিতি বলছে—যুদ্ধ যদি থামানো না যায়, তবে সেই আগুন শুধু ইরান-ইসরায়েলেই নয়, ছড়িয়ে পড়বে পুরো মানবসভ্যতায়।

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator