রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আসল লক্ষ্য হচ্ছে পুরো ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখল করা। এ কথা জানিয়েছেন জার্মানির শীর্ষ কূটনীতিক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াডেফুল। গত সোমবার কিয়েভ সফরে গিয়ে তিনি ইউক্রেনজুড়ে বাড়তে থাকা রুশ বাহিনীর হামলার প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন।
কিয়েভ ও পশ্চিমা মিত্ররা অভিযোগ করছে, বর্তমানে কূটনৈতিক সমাধানের চেষ্টা প্রায় বন্ধ। রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আলোচনা প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্রুত শান্তি চুক্তির ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, কিন্তু বাস্তবতা এমন নয়।
ওয়াডেফুল বলেন, পুতিন পুরো ইউক্রেনকে নিজের শাসনের আওতায় আনতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি পুরো ইউরোপজুড়ে আতঙ্ক ছড়াতে চাইছেন। রুশ নেতার কথিত আলোচনা প্রস্তুতি নিছকই প্রতারণার মুখোশ মাত্র।
কিয়েভে রুশ হামলাস্থল পরিদর্শনের পর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো জানান, জার্মানি ইউক্রেনকে ২ বিলিয়ন ইউরো আর্থিক সহায়তা দিয়েছে, যা বিমান প্রতিরক্ষা ও গোলাবারুদের জন্য ব্যয় করা হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিগার সঙ্গে এসব কথা জানান।
সিবিগা বলেন, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে, যাতে দেশের মনোবল ভেঙে যায়।
তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের জার্মান বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষায় অভূতপূর্ব সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, জার্মানির প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতিনিধি ও ওয়াডেফুল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
ওয়াডেফুল বলেন, "আমরা নতুন যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যাতে ইউক্রেন দ্রুত নিজস্ব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে সক্ষম হয়, কারণ দেশের চাহিদা অসীম।"
এই বৈঠকগুলো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পশ্চিমা সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ও সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।