শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. কালাম হাওলাদার।
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সাহসের সঙ্গে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করলেও, বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা, সামাজিক চাপ এবং মানসিক যন্ত্রণায় তিনি ক্রমাগত ভেঙে পড়ছিলেন। পরিবারের ধারণা, এই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ধর্ষণ মামলার প্রেক্ষিতে দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে। মামলাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মৃত্যু নিছক আত্মহত্যা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
পটুয়াখালী দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, লামিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে। পাশাপাশি পুরো ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের দাবি, লামিয়ার মতো একজন সাহসী মেয়েকে সমাজের অবহেলা ও বিচারহীনতার কারণে প্রাণ হারাতে হলো, যা পুরো জাতির জন্য গভীর লজ্জার। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।



















