বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, 'জুলাই-আগষ্টেের ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার শেখ হাসিনার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন, পুনরায় কেউ স্বৈরাচার হয়ে উঠার চেষ্টাকে এদেশের ছাত্র-জনতা রুখে দিবে। শেখ হাসিনা ১৬ বছর ধরে একাত্তরের চেতনার কথা বলে পুরো দেশ ও দেশের মানুষকে বিভক্ত করে গেছেন। এ দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের তিনি রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন। আল্লাহ অহংকার পছন্দ করেন না, তিনি অহংকারীদের ধ্বংস করেন।'
তিনি বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে কুতুবদিয়া উপজেলার ধূরুং স্টেডিয়ামে কুতুবদিয়া কুরআন সুন্নাহ প্রচার সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। মাওঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও হাফেজ মিজবাহ উদ্দীনের সঞ্চালনায় এ ইসলামী মহাসম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুনির হোসাইন কাশেমী, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, কুতুবদিয়া উলামা পরিষদের সদস্য মাওঃ সরোয়ার আলম কুতুবী প্রমুখ।
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসররা এ দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ দেশের মানুষের বাক্স্বাধীনতা ও ভোটের অধিকার ছিনতাই করে দেশে একনায়কতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন। কিন্তু জুলাই ও আগস্টের বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনাকে উৎখাত করেছি নতুন কোনো ইসলামবিদ্বেষী শক্তিকে বাংলার মসনদে দেখবার জন্য নয়। ড. ইউনূস সাহেবের সরকারকে আমরা এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও এই সহযোগিতা করে যাওয়ার ইচ্ছা আমাদের আছে। কিন্তু সেই ইচ্ছা সরকারেরও থাকতে হবে।’
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব বলেন, ‘দেশ হিসেবে গত ১৬ বছর ভারতের সম্পর্ক ছিল শেখ হাসিনার সঙ্গে। এদেশের মানুষের চাওয়া-পাওয়া উপেক্ষা করেছে ভারত। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে দিল্লির পরামর্শ নিয়েছেন, তাদের দাসত্ব করেছেন। ক্ষমতা হারিয়ে তিনি সেই পরামর্শদাতার দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের মানুষ জীবন বিলিয়ে দিয়ে হলেও স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। পরাধীনতা মেনে নেবে না।’
মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী তার বক্তব্যে বলেন, ‘যদি হিন্দুত্ববাদী ও ইসলামবিরোধী কোনো এজেন্ডা পশ্চিমা বিশ্ব থেকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, সেটাকেও আমরা রুখে দিতে প্রস্তুত। হিন্দুত্ববাদী শিক্ষাব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি।’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঠান্ডা মাথায় আমরা কথা বলছি, আমাদের ভাষা বুঝবার চেষ্টা করেন। সমকামিতা ও অসভ্যতার নোংরামি এই বাংলাদেশে বরদাশত করা হবে না। প্রয়োজনে আবারও রক্ত দেব, আবার শহীদ হব।’
close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
لم يتم العثور على تعليقات