আব্দুস সাত্তার,দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতে জুস রপ্তানি শুরু হয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আকিজ গ্রুপ ও হাসেম ফুড নামের দুইটি প্রতিষ্টান এ জুস রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রায় ১০ টন জুস বোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান ভারতে প্রবেশ করেছে। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দিপালী এন্টারপ্রাইজ ও সুকন ডিংকস এই জুস আমদানি করছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি রাশেদ ফেরদৌস বলেন, 'গত মঙ্গলবার এই বন্দর দিয়ে প্রথম ১০ টন জুস রপ্তানি হয়েছে। এরপর বুধবার আরো দুটি প্রতিষ্ঠান জুস রপ্তানি করেছে। আমাদের সাথে আরো কোম্পানি যোগাযোগ করছে, আমরা বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করবো। গত দুইদিনে দুই ট্রাকে প্রায় ২০ টন অর্থাৎ ২ হাজার কাটুন জুস রপ্তানি করা হয়েছে, যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৮ হাজার ডলার। এসব জুস যাচ্ছে ভারতের কলকাতায়।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, 'চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অর্থ বছরের শেষ পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কোনো পণ্য রপ্তানি হয়নি। তবে আশার কথা হলো নতুন অর্থ বছরের প্রথমদিন থেকেই ভারতে বেশ কয়েকটি কোম্পানির জুস রপ্তানি হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের জন্য নিঃসন্দেহে ভালো।'এর আগে গত ১৭ মে ভারত সরকার বেশ কিছু স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে হিলি স্থলবন্দর সেই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকায় কোম্পানিগুলো এই বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে রপ্তানি করছে।এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এটি দেশের রপ্তানি বাজারকে বিস্তৃত করতে সহায়তা করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রপ্তানি কার্যক্রম দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে সহায়ক হতে পারে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, এটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।ভবিষ্যতে এই ধরনের রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে, এটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মানচিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাবে।