বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা সম্প্রতি দেশের প্রশাসনের একাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন ব্যাংকসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানেই জামায়াতে ইসলামীর সম্পূর্ণ আধিপত্য বিরাজ করছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে এসে তিনি এই গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন।
তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। রুমিন ফারহানা উল্লেখ করেন, ওই জামায়াত নেতা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন যে তাঁর কথায় চন্দ্র-সূর্যও থেমে যায় এবং 'তাঁকে না চিনলে চিনে রাখতে'। এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের মাধ্যমে দলটির নেতারা যে গভীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, তা স্পষ্ট।
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, তিনি জামায়াতের বেশ কয়েকজন নেতার মুখ থেকে শুনেছেন যে ‘আমরা বললে মামলা নেবে, আমরা বললে মামলা থেকে অব্যাহতি দেবে। আমরা বললে গ্রেপ্তার করবে, আমরা বললে ছেড়ে দেবে। আমাদের কথায় পুলিশ উঠবে-বসবে।’ এই বক্তব্যের সময় শাহজাহান চৌধুরী জামায়াত আমিরকেও সাক্ষী রাখতে চেয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপি নেত্রী বলেন, এমন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে অসুবিধা হয় না যে দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর জামায়াত কী পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
বিএনপির এই নেতা আরও মন্তব্য করেন, মাঠের রাজনীতি থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত জামায়াতের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গত ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে যেমন ঔদ্ধত্য দেখা গিয়েছিল, এখন নির্বাচনের মাত্র ১৫ মাস আগেই একই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি শেষে যোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু পুলিশ বা প্রশাসনের নিরপেক্ষতাই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা এবং নির্বাচন কমিশনের কঠোর নিরপেক্ষতা।



















