সিলেট সদর প্রতিনিধি সজল আহমেদ জানান, সিলেটের সুপরিচিত ব্যবসায়ী এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক হাজী এম. রফিকুল আলম রবিবার বিকাল ৪টায় ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে সিলেটের সমাজে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
হাজী রফিকুল আলম চট্টগ্রামের জন্মগ্রহণ করলেও ব্যবসায়িক কারণে সিলেটে স্থায়ী হয়েছিলেন। তিনি সিলেট সিটি সুপার মার্কেটের বাবলা এন্ড ব্রাদার্স এর প্রোপ্রাইটর হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয়রা তাঁকে একজন সাদা মনের মানুষ এবং পরোপকারী হিসেবে জানতেন।
সোমবার ২ জুন হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে বাদ জোহর তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় এবং মাজার প্রাঙ্গণেই তাঁকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। জানাজায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ-সিলেট অঞ্চল বিনম্র শ্রদ্ধায় তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে। পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা উনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং পরম করুণাময় তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস করুন।'
হাজী রফিকুল আলমের মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক পুত্র এবং এক কন্যা সহ বহু আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর অনুপস্থিতি সিলেটের সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রতি বজায় রাখতে এক বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তাঁর অবদান এবং স্মৃতিচারণা স্থানীয় সমাজে দীর্ঘদিন ধরে অনুরণিত হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, হাজী রফিকুল আলমের মতো ব্যক্তিরা সমাজে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাঁর মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের সামাজিক সংগঠনগুলোর কাছে তাঁর আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।