পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার..

Mahamud Mithu avatar   
Mahamud Mithu
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্লাস্টিক বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যা পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।..

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫ — বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি প্লাস্টিক বর্জনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাজধানীর বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০২৫ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘প্লাস্টিক পরিবেশের বিষ। এটি কেবল মানুষ নয়, পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। পৃথিবীতে প্রতিদিন জনসংখ্যা বাড়ছে এবং এর সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রতি প্লাস্টিকের ব্যবহার। আমাদের সকলের উচিত এ বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং প্লাস্টিক বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। জীবন বাঁচাতে হলে পরিবেশ বাঁচাতে হবে। পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করতে পারলে আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী উপভোগ করতে পারব।’

অধ্যাপক ইউনূসের মতে, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং এর ব্যবহার বন্ধ করা জরুরি। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিক যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বর্জন করে, তাহলে ক্রমান্বয়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব হবে। কিন্তু এর জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ প্রয়োজন।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা ঠিকঠাক না থাকায় পৃথিবীর জলাশয়গুলো প্লাস্টিকে ছেয়ে গেছে এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়েছে। তাই প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও নতুন কর্মদ্যোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক এমন এক জিনিস যার জন্ম আছে, মৃত্যু নেই। পৃথিবীর সকল কিছুর মৃত্যু আছে, এর মৃত্যু নেই। প্লাস্টিক আমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা যদি দৈনন্দিন জীবনযাপন বদলাতে না পারি, তাহলে প্লাস্টিক দূষণের এই যুদ্ধে আমাদের পরাজয় অবধারিত।’

তিনি তরুণ প্রজন্মকে জলবায়ু সংকট ও দূষণ রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে আমরা দেখেছি এদেশের তরুণ প্রজন্মের অসীম সাহসিকতা। নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তারা দেখিয়েছে। এই প্রজন্ম ইতিহাসের সবচেয়ে সৃজনশীল ও শক্তিশালী প্রজন্ম।’

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তারা পরিবেশ সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়েও আলোকপাত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক ইউনূস একটি সোনালু গাছ লাগিয়ে বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন করেন, যা পরিবেশ সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator