পর্ব ২: অটোরাজ্য – ‘অটো-পার্কিং ফ্যাস্টিভ্যাল’
সুমন হাওলাদার
ঢাকা | ১ মে ২০২৫
রাস্তায় নয়, চলছে অটো-পার্কিংয়ের উৎসব
ভাটারা থানার সামনের ১০০ ফিট মাদানি এভিনিউয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি চলে এক অনিয়ন্ত্রিত দৃশ্য—যেখানে সড়ক রূপ নেয় ‘পার্কিং মেলা’-য়। সুশৃঙ্খল যাতায়াতের বদলে এখানে রাজত্ব করে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
ফুটপাথের গ্যারেজ, রাস্তার স্টেশন
ফুটপাথ যেন হারিয়ে গেছে, তার জায়গায় এসেছে অটো গ্যারেজ। আর মূল সড়কে সৃষ্টি হয়েছে যাত্রী তোলার অস্থায়ী ‘স্টেশন’। ফলে পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চলাচল কার্যত অচল।
সবাই জানে, কেউ কিছু বলে না
এ দখলদারিত্বের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীর মদদ। আইন আছে, কিন্তু প্রয়োগ নেই। পুলিশের চোখের সামনে প্রতিদিনের বিশৃঙ্খলা যেন এক প্রাত্যহিক নাটক, যার কুশীলব সবাই, কিন্তু দায় কারও না।
চালকদের যুক্তি, ‘জায়গা নাই’—তাই রাস্তাই স্ট্যান্ড
চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, “যাত্রীরা তো রাস্তার ওপরেই উঠে, তাই আমরাও ওখানেই দাঁড়াই।” কিন্তু এই ‘স্ট্যান্ড’ যে একটি ব্যস্ত নগর সড়ক, তা ভুলে যাওয়ার কারণ কি শুধুই সুবিধাবাদ?
যেখানে থেমে যায় শহরের গতি
ফলাফল—ধীরগতির যান, থেমে থাকা মানুষ, আর এক অসহায় নগর বাস্তবতা। পথচারীরা হাঁটেন গা ঘেঁষে, বাস-সিএনজি চলে থেমে থেমে। প্রতিদিনের দৃশ্য এই—কিন্তু প্রতিকার? অনুপস্থিত।
একই গল্প, ভিন্ন ঠিকানা—কিন্তু ভাটারায় তা চরমে
ঢাকার বহু স্থানে এমন অবস্থা দেখা যায়, তবে ভাটারার ১০০ ফিট রোড যেন এর এক নিখুঁত প্রতিচ্ছবি। সড়ক নেই, শৃঙ্খলা নেই—শুধু অটো আর অব্যবস্থার দৃশ্যপট।
প্রশ্ন রয়ে যায়—এই ‘অটোরাজ্য’ থেকে মুক্তি কোথায়?
নগর ব্যবস্থাপনা যদি একটুখানি সচল হতো, তবে কি এই বিশৃঙ্খলা চলত? রাস্তার ওপরেই যদি ‘স্টেশন’ হয়, তবে শহরের ভবিষ্যৎ কোথায়?
[চলবে...]