পিরোজপুরে-৬ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাচ্ছেন -৩ শিক্ষক: এলাকাবাসী বলছে  সরকারি অর্থের অপচয় ..

Md Azim Hossen avatar   
Md Azim Hossen
পিরোজপুরে-৬ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাচ্ছেন -৩ শিক্ষক: এলাকাবাসী বলছে  সরকারি অর্থের অপচয় ..

 

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৬নং জব্দকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষকের সংখ্যাই বেশি—শুধু ৬ জন ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করছেন ৩ জন শিক্ষক। এলাকাবাসী বলছেন, এটি সরকারি অর্থের অপচয় এবং তদারকি ও দায়িত্বহীনতার জ্বলন্ত উদাহরণ।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সচেতন মহলের অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ৬ জন শিক্ষার্থী ও ৩ জন শিক্ষক উপস্থিত রয়েছেন। রেজিস্টার ও উপস্থিতির খাতায় দেখা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোনো শিক্ষার্থী নেই। তৃতীয় শ্রেণিতে ২ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ১ ছাত্র ও ১ ছাত্রী, পঞ্চম শ্রেণিতে ২ ছাত্র ও ২ ছাত্রীসহ মোট ৭ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধিত রয়েছে, তবে ওই দিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৬ জন।

স্থানীয় একাধিক অভিভাবক ও সচেতন নাগরিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের সীমানার অন্তর্গত পরিবারগুলোকে তাদের সন্তানের বয়স অনুযায়ী বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে উদ্বুদ্ধ করা শিক্ষকদের নৈতিক দায়িত্ব হলেও, তারা এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেননি। মাস শেষে শুধু বেতন ও ভাতা গ্রহণেই সীমাবদ্ধ রয়েছেন। তাদের মতে, তদারকির অভাব এবং শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতাই এর মূল কারণ।

এ প্রসঙ্গে তুলনা টেনে তারা জানান, নূরানী, কওমি ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা নিজেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের রাজি করিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করান। কারণ সেখানে শিক্ষকদের বেতন নির্ভর করে মাসিক ফি-এর ওপর।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর সিকদার এ পরিস্থিতির জন্য ভৌগোলিক অবস্থান ও যাতায়াতের সমস্যা দায়ী করেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, "শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাব, দায়িত্বহীনতা এবং তদারকির ঘাটতি এই অবস্থার জন্য দায়ী। তবে ভৌগোলিক কারণ কিছুটা প্রভাব ফেলেছে বলেও মনে করি।"

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজল মোল্লা জানান, "বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান বলেন, "২০ জনের কম শিক্ষার্থী রয়েছে এমন বিদ্যালয়গুলোকে নিকটবর্তী বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

Geen reacties gevonden


News Card Generator