close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পার্লামেন্টের সিট দিয়ে আমাদের কিনতে পারবেন না : হাসনাত আবদুল্লাহ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভিন্ন রাজনীতির নতুন ধারা: হাসনাত আবদুল্লাহর সাহসী মন্তব্য, তরুণদের মধ্যে নতুন জোশ ও দৃঢ় প্রত্যয়ের বার্তা! চুয়াডাঙ্গা, ২৭ জানুয়ারি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
ভিন্ন রাজনীতির নতুন ধারা: হাসনাত আবদুল্লাহর সাহসী মন্তব্য, তরুণদের মধ্যে নতুন জোশ ও দৃঢ় প্রত্যয়ের বার্তা! চুয়াডাঙ্গা, ২৭ জানুয়ারি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেছেন, "আপনারা আমাদেরকে আসনের লোভ দেখাবেন না। পার্লামেন্টে কোনো সিট দিয়ে আমাদেরকে কিনতে পারবেন না।" তাঁর এই বক্তব্য তরুণদের শক্তিশালী অবস্থান এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট করে তুলে ধরে। তিনি আরও বলেন, "যতদিন তরুণরা রাজপথে আছি, শেখ হাসিনা আমাদেরকে কিনতে পারে নাই, আপনিও পারবেন না।" চুয়াডাঙ্গার জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে, জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গা রাইজিং সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এই মন্তব্য করেন। তাঁর বক্তব্যে তরুণ প্রজন্মের সংগ্রাম এবং নতুন রাজনৈতিক ধারা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবীণ রাজনীতিবিদদের প্রতি তীব্র সমালোচনা ছিল। তিনি বলেছিলেন, "ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করছে, যা তরুণদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।" এসময় তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য যে নীতির কথা বলেন, তা ছিল একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে। "প্রথমে খুনি হাসিনা, ওবায়দুল কাদের এবং আসাদুজ্জামান কামাল খানসহ খুনিদের বিচার করতে হবে, তারপর আওয়ামী লীগের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে," বলেন তিনি। হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে আরও বলেন, "তরুণরা যে শুধু ভোটের জন্য জীবন দেয়নি, তার চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের মনন, আমাদের ভাষা, আমাদের সংগ্রাম বুঝতে প্রবীণ রাজনীতিবিদরা ব্যর্থ হয়েছেন।" হাসনাত আবদুল্লাহ তার বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা নিয়ে অভিযোগ করেন, এখানে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি, "বিগত ১৬ বছর ধরেই চুয়াডাঙ্গার মানুষ ভোট দিতে পারেনি," উল্লেখ করে তিনি। "চুয়াডাঙ্গা সীমান্তবর্তী একটি জেলা, এবং এই জেলায় ভারতের ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে আছেন। তিনি মাঝে মাঝে আমাদের ভয় দেখান, কিন্তু আমরা দৃঢ় এবং ঐক্যবদ্ধ থাকবো।" এছাড়া, তিনি তার বক্তব্যে তরুণদের সজাগ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। "শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকতে হবে, আওয়ামী লীগের পূনর্বাসনের প্রচেষ্টা থামাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে," তিনি বলেন। এছাড়া, সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নুসরাত তাবাসসুম, মোল্লা এহসান, আশরেফা খাতুন সহ আরও অনেক বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ। চুয়াডাঙ্গার একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত: সমাবেশের মাধ্যমে হাসনাত আবদুল্লাহ চুয়াডাঙ্গাকে একটি সম্ভাবনাময় জেলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তবে এখানে এখনও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটেনি বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, "আপনারা জানেন, কেন এই উন্নয়ন হয়নি। বিগত ১৬ বছর ধরে এখানে মানুষ ভোট দিতে পারেনি, তাই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে।" শেষ কথা: হাসনাত আবদুল্লাহ’র বক্তব্যটি তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্যম এবং রাজনীতি সম্পর্কে নতুন ধারণা তৈরি করেছে। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক শক্তি এবং প্রবীণ নেতাদের প্রতি, যে তাঁরা যদি তরুণদের মনোভাব ও দাবি বুঝতে না পারেন, তাহলে তাদের রাজনৈতিক কৌশল কখনই সফল হবে না। তাঁর বক্তব্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং নেতৃত্বের আহ্বান ছিল। চুয়াডাঙ্গা রাইজিং সমাবেশটি: এই সমাবেশের সঞ্চালক ছিলেন সাফফাতুল ইসলাম, এবং সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আসলাম হোসেন অর্ক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা, কুষ্টিয়া ও জীবননগরের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এই ধরনের সমাবেশে তরুণদের শক্তি এবং ঐক্যের বার্তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যা আগামী দিনের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Tidak ada komentar yang ditemukan