close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

পার্বত্য চট্টগ্রামের একশ স্কুলে এ বছরই ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দুর্গম এলাকার সংকট সত্ত্বেও ২০২৫ সালের মধ্যেই ১০০টি স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও শিক্ষক সমস্যার সমাধানও পরিকল্পনায়।..

পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলগুলোকে আধুনিক শিক্ষার আওতায় আনতে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই সেখানে অন্তত একশটি স্কুলে ই-লার্নিং কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের স্কুলগুলোতে ভার্চুয়াল বা ই-লার্নিং কার্যক্রম চালুর ক্ষেত্রে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে:

  1. বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব:
    দুর্গম অনেক এলাকায় এখনো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই।

  2. ইন্টারনেট সংযোগের সীমাবদ্ধতা:
    বেশিরভাগ অঞ্চলে ইন্টারনেট নেই বললেই চলে।

  3. দক্ষ শিক্ষক সংকট:
    ই-লার্নিং পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক নেই।

এই সমস্যাগুলোকে সামনে রেখেই প্রধান উপদেষ্টা কার্যকরী নির্দেশনা দেন, যাতে এ বছরের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়।

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে সোলার প্যানেল স্থাপনের কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি, ইন্টারনেট সংযোগে মোবাইল নেটওয়ার্কস্টারলিংক স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশনা দেন তিনি, যা দুর্গম এলাকাগুলোতেও কার্যকরভাবে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে পারবে।

তিনি বলেন, “দক্ষ শিক্ষকের অভাব দূর করতে স্কুলভিত্তিক তালিকা করে সেখানে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদে দায়িত্ব দিয়ে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিষয়গুলো অন্তত ভালোভাবে অনলাইনে পড়াতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা যেন এসব স্কুলে অনলাইনে পাঠদান করেন, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। এভাবে শিক্ষার মান একসাথে উন্নত হবে এবং পার্বত্য এলাকার মেধাবীরা আর পিছিয়ে থাকবে না।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “প্রথমেই ১০০টি স্কুলের তালিকা তৈরি করতে হবে। কোন স্কুলে কী ঘাটতি আছে — বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট, যন্ত্রপাতি — সবকিছুর ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। এরপর দ্রুত কাজ শুরু করে ক্লাস নিশ্চিত করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই উদ্যোগের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলেমেয়েরা জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার মতো যোগ্যতা অর্জন করবে। “ভালো শিক্ষক, ভালো ক্লাস, ভালো সুযোগ—এই তিনটি পেলেই ওরাও পিছিয়ে থাকবে না। অনেকেই হয়তো আগামী দিনের বিজ্ঞানী, ডাক্তার, প্রকৌশলী হয়ে উঠবে।”

এই উদ্যোগকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন যুগের সূচনা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Nema komentara