এ ঘটনায় মডেল থানায় গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুই পক্ষের মামলা পাল্টা মামলা হলেও ঘটনার গ্রেফতার হয়নি কেউ।
এদিকে আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি বিচারের আশায় মানবেতর জীবনযাপন করছে খোলা আকাশের নিচে। সোমবার ঈদের দিন উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর দোকানীপাড়া গ্রামে এই বর্বরচিত ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে আবারও বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।
জানা যায়, হয়বতপুর গ্রামের মোসাদ্দেকুলের সুপারী বাগান থেকে সুপারি চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে দোকানীপাড়া গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলামকে আটক করে সুপারি বাগান মালিক পক্ষের লোকজন। এ সময় রবিউলকে রশি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায় বাগান মালিক মোসাদ্দেকুল ইসলাম (৫৫) ও তার ছেলে নিশাত (৩০)। এ দাবি করেন রবিউলের চাচাতো ভাই মামলার বাদী রাসেল। এসব নির্যাতনের বেশ কিছু চিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ইতোমধ্যেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।
রবিউলকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবার ও পাশের লোকজন এগিয়ে এলে সংঘর্ষ বাধে দুপক্ষের মধ্যে। এতে উভয়পক্ষের হামলা ও মারপিটে আহত হয়েছেন মোছাদ্দেকুল, নিশাত, নুরে জান্নাত, শামসুন্নাহার ও শামসুর রহমানসহ অন্তত ৭ জন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আজাদ আলীর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
বাড়ির গৃহিণী শামসুন্নাহার জানান, ১০/১২ জনের একটি লাঠিয়াল বাহিনী বাড়ির পেছনে গিয়ে অগ্নিসংযোগ করে বীরদর্পে চলে যান। মোছাদ্দেকুল ইসলাম জানান, নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে রবিউলকে নিয়ে লোকজনের জটলা দেখে জানতে পাই সে সুপারি চুরি করেছে এবং লোকজন পেটাচ্ছে। এ সময় আমিও তাকে মারপিট করি। তাকে থানায় নেয়ার পথে সংঘর্ষ বাধে ও আজাদ আলীর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, মামলার এক পক্ষ জামিনে রয়েছে, অপর পক্ষ পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
 'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
  
  
 
		 
				 
			



















 
					     
			 
						 
			 
			 
			 
			 
			 
			