পালানোর জন্য শেখ হাসিনার লজ্জায় ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া উচিত: দুদু..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু। শেখ হাসিনার পালানোর প্রসঙ্গে বলেন, এত লজ্জাজনকভাবে কেউ পালায়নি—ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া উচিত ছিল! পাশাপাশি, তিনি দেশনেত্রী খালেদা ..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও উত্তেজনা তৈরি করলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। নারায়ণগঞ্জে গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এক চরম আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন

গত একশ বছরে এমনভাবে কোনো পলাতক ব্যক্তির ইতিহাস নেই, শেখ হাসিনা যেভাবে পালিয়েছেন। তার তো লজ্জায় ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়া উচিত!

বক্তব্যকালে দুদু দাবি করেন, ইতিহাসে এমন লজ্জাজনক পরাজয় আর নেই। তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে +দেন—এই যে পালানো, এই যে ষড়যন্ত্র, এতে জনগণ কতদিন আর ঠকবে?

শুধু শেখ হাসিনার সমালোচনা নয়, শামসুজ্জামান দুদু আরও অভিযোগ তোলেন যে, কিছু মহল বুঝে বা না বুঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষড়যন্ত্রে পা দিচ্ছে।

তিনি বলেন

কেউ কেউ বলছে পিআর, কেউ বলছে বিদেশি প্রক্রিয়া। এগুলো আসলে নির্বাচন ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র। হাসিনা চায় না নির্বাচন হোক। নির্বাচন না হলে দেশে আবার স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসবে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যারা প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তারা যেন শেখ হাসিনার ফাঁদে না পড়ে।

দুদু তার বক্তব্যে খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন

নির্যাতনের কারণেই কোকোর মৃত্যু হয়েছে। এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। এটা ছিল সরকারের নিপীড়নের ফল।

তিনি দাবি করেন, স্বৈরতন্ত্রের পতন হলেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, আর তার একমাত্র পথ হলো অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন।

দুদু বলেন, কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে এক দলকে বাদ দিয়ে অন্য দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য আন্দোলন হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন

স্বৈরতন্ত্র গেলে জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, তারাই ক্ষমতায় আসবে। এনসিপি হোক, বিএনপি হোক বা অন্য কেউ—মানুষ ভোট দিলে তারাই আসবে। এটা হবে গণতন্ত্রের বিজয়।

দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্য তুলে ধরে শামসুজ্জামান দুদু বলেন

যেকোনোভাবে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। বিভাজন নয়, ঐক্যই আমাদের রক্ষাকবচ। যতক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্রে না ফিরি, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন,

আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ বারবার আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে। অথচ শেখ হাসিনা সেই দেশের আশ্রয়ে গণহত্যা ও দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

সবচেয়ে তীব্র অভিযোগটি আসে বক্তৃতার শেষ দিকে। তিনি বলেন

আমাদের তথাকথিত প্রধানমন্ত্রী এত টাকা চুরি করেছেন যা কেউ কখনও করেনি। হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে হত্যা করেছেন। অথচ সেই অপরাধীকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এটা জাতির জন্য চরম অপমান।

পুরো বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু মূলত একটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন—বাংলাদেশে আবারো গণতন্ত্র ফেরাতে হবে, স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটাতে হবে এবং সেই পথ হলো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন। তিনি তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং জাতীয় ঐক্যের ওপর জোর দেন।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি