close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তানের সে'নাদের হা মলা'য় নি'হ ত ১০ ভারতীয়

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীর সীমান্তে ফের উত্তাল যুদ্ধাবস্থা! ভারতীয় বাহিনীর হামলার জবাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে প্রাণ গেল ১০ ভারতীয় নাগরিকের। ভূপাতিত ৫ যুদ্ধবিমান, ধ্বংস ব্রিগেড সদর দপ্তর—দুই পরমাণু শক্তিধ..

কাশ্মীর সীমান্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ভারত-পাকিস্তানের পুরনো শত্রুতার আগুন যেন আবার দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১টার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের ভেতরে সশস্ত্র হামলা চালালে পাল্টা আঘাত হানে পাকিস্তান। এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১০ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতীয় পুলিশের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনারা সীমান্তে নির্বিচারে গোলাবর্ষণ চালায়। এতে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ১০ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান, যাদের মধ্যে রয়েছে দুই শিশু। এছাড়া প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছে। তবে এই দাবি নিয়ে ভারত এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বুধবার রাত ১টার পর ভারতের সীমান্ত বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে একটি সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। এতে অন্তত ২৬ জন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত এবং আরও ৪৬ জন আহত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে প্রকাশ।

এদিকে পাকিস্তান জানিয়েছে, ভারতের হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ বলে বিবেচনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন আরও আক্রমণের জবাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। ইসলামাবাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, “ভারতের আগ্রাসনের জবাবে আমরা প্রস্তুত এবং আরও বড় পরিসরে প্রতিশোধ নিতে কোনো দ্বিধা করব না।”

এই সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক অস্থিরতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এই নতুন করে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়া নিয়ে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক পাকিস্তানের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছে এবং ইসলামাবাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানিয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই দেশের সীমান্তে এই ধরনের সংঘর্ষ শুধু সাময়িক উত্তেজনাই নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য ভয়ঙ্কর বার্তা বহন করছে। কারণ দু'দেশই পরমাণু অস্ত্রধারী এবং দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তা পুরো দক্ষিণ এশিয়াকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলমান। বিভিন্ন সময় সীমান্তে সংঘর্ষ, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটলেও সম্প্রতি তা ফের ভয়াবহ আকার নিয়েছে।


সংক্ষেপে বলা যায়, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ফের রক্তাক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাণ গেছে নিরীহ মানুষের। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও সংযমই হতে পারে একমাত্র পথ, যা এই আগুনকে থামাতে পারে। নয়তো এই আগুন গ্রাস করবে পুরো উপমহাদেশকে।

コメントがありません