পাকিস্তানে ভারতীয় হামলার পর কাঁপছে উপমহাদেশ, রুপি পড়লো তলানিতে, আকাশে যুদ্ধবিমানের ভয়াল ঝড়!
নিউজ ডেস্ক | ৭ মে ২০২৫, বুধবার
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার বিস্ফোরণ ঘটেছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালিত সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতীয় রুপির বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের একাধিক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পরই এই পতন লক্ষ্য করা গেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে।
বিশ্বখ্যাত বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতীয় রুপি নন-ডেলিভারেবল ফরোয়ার্ড (NDF) মার্কেটে আচমকা পতনের মুখে পড়েছে। এনডিএফ-এ রুপি যেখানে গত এক মাসে ৮৪.৬৪ থেকে ৮৪.৬৮ রেঞ্জে লেনদেন হয়েছে, সেখানে এই হামলার পরপরই তা পড়ে যায় ৮৪.৪৩২৫-এ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন হঠাৎ পতন ভারতীয় অর্থনীতির উপর দীর্ঘমেয়াদি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
পাকিস্তানের জবাবে ভারতের বড় ক্ষতি
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তারা অন্তত পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এতে রয়েছে তিনটি ফ্রান্সের রাফায়েল, একটি রাশিয়ান এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯। ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র রাফায়েল হারিয়েই ভারতের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পাকিস্তানের আইএসপিআর-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, ভারতের মধ্যরাতের পর চালানো হামলায় পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরবাদ অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে বলেও তিনি বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের “অপারেশন সিঁদুর”: কৌশলগত হামলা না যুদ্ধের শুরু?
ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি অভিযান চালিয়েছে, যার আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ভারত দাবি করেছে, এই হামলায় পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি। বরং টার্গেট করা হয়েছে তথাকথিত “সন্ত্রাসী অবকাঠামো”।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাশ্মীর অংশে গত মাসে সংঘটিত একটি প্রাণঘাতী হামলার জবাবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেশের ভেতরে শক্ত অবস্থান তুলে ধরতে চাইছে। কিন্তু এর পরিণতি যে আরও ভয়াবহ হতে পারে, তা এখনই স্পষ্ট।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া: “এই হামলা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল”
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ এক সাক্ষাৎকারে জানান, ভারত সরাসরি একটি স্বাধীন দেশের উপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধের উস্কানি দিয়েছে। জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “পাকিস্তান শুধু জবাব দেয়নি, জবাব দিয়েছে সঠিক টার্গেটে। আমরা শত্রুকে বুঝিয়ে দিয়েছি, আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপসহীন।”
তিনি আরও বলেন, “যুদ্ধ শুরু করলে কে জিতবে তা মাঠেই নির্ধারিত হবে, কিন্তু পাকিস্তান প্রস্তুত।” পাকিস্তান ইতোমধ্যে সীমান্ত অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উদ্ভূত এই উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা। জাতিসংঘের মহাসচিব উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকেও দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সামরিক উত্তেজনা শুধু উপমহাদেশের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলেনি, বরং বিশ্ববাজারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। রুপির পতন এরই প্রাথমিক ইঙ্গিত।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা নতুন রূপে মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। রাফায়েল যুদ্ধবিমান হারানো, মানুষের প্রাণহানি, এবং অর্থনৈতিক পতন — সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এখন দেখার বিষয়, উভয় দেশ এই উত্তপ্ত অবস্থা থেকে পেছনে হটে, নাকি এক নতুন যুদ্ধের পথে হাঁটে।