close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তান কখনও যুদ্ধবিরতির জন্য অনুরোধ জানায়নি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দাবি করেছেন, ভারত সীমান্তে যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন করেনি পাকিস্তান। বরং হামলার পর ভারতই এখন আলোচনার অনুরোধ করছে। পাকিস্তান বলছে, উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরেই কেবল কথা হবে।..

ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মাঝেই মুখ খুললো পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সীমান্ত সংঘাত নিয়ে ভারতীয় পক্ষের কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। মঙ্গলবার (৭ মে) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তান কখনো যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেনি। বরং যারা কাপুরুষের মতো হামলা চালিয়েছে, তারাই এখন মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, ৬ ও ৭ মে সীমান্তে যেসব আক্রমণ চালানো হয়েছে, তা পাকিস্তানের ওপর অকারণ ও পরিকল্পিত হামলা। এই হামলার পরেও পাকিস্তান দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। দেশটি স্পষ্ট জানিয়েছে, সমুচিত জবাব না দিয়ে কোনো আলোচনায় বসবে না।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল শরীফ জোর দিয়ে বলেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন নেই এবং এমনটি হলে সেটা গোটা উপমহাদেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে। এখানে প্রায় ১৬০ কোটির বেশি মানুষের ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই আমরা শান্তি চাই, কিন্তু নিজের মর্যাদায় আপস নয়।”

তিনি এও বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী লোসি (LoC)-তে পুরোপুরি যুদ্ধবিরতি রক্ষা করছে। ২০০ শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়ে তিনি দাবি করেন, “আমাদের সেনারা কখনোই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেনি। আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলি, পেশাদারিত্ব বজায় রাখি এবং শান্তির পক্ষে কাজ করি।” তবে আগ্রাসনের জবাবে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার পেছনে ভারতের তৎপরতা এবং পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। পাকিস্তান নিজেকে ‘শান্তিপ্রিয় এবং দায়িত্বশীল’ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপন করতে চাচ্ছে, এবং এর মাধ্যমে ভারতীয় অভিযানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

 

এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনও গভীর অনাস্থা বিরাজ করছে। উভয় দেশই নিজেদের অবস্থানকে ন্যায্য বলে দাবি করলেও সামরিক ও কূটনৈতিক কৌশলে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, তা নির্ভর করবে দুই দেশের নেতৃত্বের রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক চাপের ওপর।

لم يتم العثور على تعليقات