close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকিস্তান-ভারত যু দ্ধ যেন পার মাণবি ক যু দ্ধে পরিণত না হয় : যুক্তরাষ্ট্র..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিল—যুদ্ধ হলে হস্তক্ষেপ নয়, বরং কূটনীতি! ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কায় ভীত বিশ্ব। এমন সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।..

পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষ: ‘পারমাণবিক যুদ্ধ যেন না হয়’—যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট সতর্কতা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যকার বর্তমান সংঘাত যেন আরেকটি বিশ্ব বিপর্যয়ের রূপ না নেয়, সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স

সম্প্রতি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারে জেডি ভ্যান্স বলেন,

“আমরা দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারি না। তবে, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক পথ বেছে নিতে পারে এবং ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকতে উৎসাহিত করতে পারে।”

তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো যুদ্ধে অংশ নেবে না যেখানে তার জাতীয় স্বার্থ জড়িত নয়। তার মতে,

“ভারত আক্রমণ করলে পাকিস্তান জবাব দেবে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উভয় পক্ষেরই উচিত ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করা। যুদ্ধ যেন পারমাণবিক রূপ না নেয়।”

পারমাণবিক সংঘর্ষ হলে ক্ষতি অপূরণীয়’

ভ্যান্সের এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে একটি বড় আতঙ্ক—যদি এই যুদ্ধ কোনোভাবে পারমাণবিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তাহলে শুধুমাত্র ভারত-পাকিস্তান নয়, গোটা পৃথিবীর নিরাপত্তাই হুমকির মুখে পড়বে।

তিনি আরো বলেন,

“আমরা ভারতকে আত্মসমর্পণের কথা বলতে পারি না, পাকিস্তানকেও না। আমাদের আশাই হলো, এই সংঘর্ষ কূটনৈতিক উপায়ে দ্রুত সমাধান হবে।”

এই বার্তায় স্পষ্ট—যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নিচ্ছে না, বরং শান্তির আহ্বান জানাচ্ছে উভয় দেশকেই।


 কূটনৈতিক তৎপরতা: ফোন কলে ব্যস্ত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কূটনৈতিক পর্যায়ে দ্রুত যোগাযোগ শুরু করেছেন।

তিনি ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এর সঙ্গে।

 পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:

শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও দক্ষিণ এশিয়ার চলমান সংকট ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছেন এবং এই অঞ্চলে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 ভারতের প্রতিক্রিয়া:

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টিমি ব্রুস এক ব্রিফিংয়ে জানান, মি. রুবিও জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনায় ‘তাত্ক্ষণিক উত্তেজনা প্রশমনের’ প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সরাসরি ভারত-পাকিস্তান আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছেন।


 বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ, শান্তির পথেই সমাধান খোঁজার আহ্বান

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ বিশেষ করে পারমাণবিক পর্যায়ে পৌঁছালে তা হবে মানবজাতির জন্য মারাত্মক বিপর্যয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,

“উভয় দেশকেই রাজনৈতিক পরিণতি ও বৈশ্বিক চাপ মাথায় রেখে শান্তির পথে হাঁটতে হবে।”


 

যুক্তরাষ্ট্রের এই স্পষ্ট বার্তা একটি বড় কূটনৈতিক সিগন্যাল। তারা সরাসরি যুদ্ধ ঠেকাতে চাইছে না, বরং চাইছে উভয় দেশ নিজের দায়িত্বে উত্তেজনা কমিয়ে সমাধানের পথে আসুক।

ভারত ও পাকিস্তান কি তবে শান্তির পথে হাঁটবে, নাকি চলমান উত্তেজনা আরও ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাবে? উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে পুরো বিশ্ব।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি