close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাকি'স্তানি বাহিনীর গু'লি তে ৫০ ভারতীয় সেনা নি হত’

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীর সীমান্তে উত্তেজনা চরমে! পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের পাল্টা হামলায় ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত এবং ২৫টি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জানলে চমকে উঠবেন!..

কাশ্মীর সীমান্তে চরম উত্তেজনা: পাকিস্তানি হামলায় ৫০ ভারতীয় সেনা নিহত, ভূপাতিত ২৫ ইসরায়েলি ড্রোন

কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে রক্তাক্ত সংঘর্ষের সূচনা হয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা হামলায় অন্তত ৫০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পার্লামেন্টে বিস্ফোরক বক্তব্য পাকিস্তানি মন্ত্রীর

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার দেশটির পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভারত-শাসিত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের মাঝে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LoC) সম্প্রতি সংঘটিত এক তীব্র গোলাগুলির ঘটনায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ৪০ থেকে ৫০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে।

এই বক্তব্যটি যেমন বিস্ময় সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক মহলে, তেমনি নতুন করে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

ভারতের পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস

তবে এখানেই থেমে থাকেনি পাকিস্তানের জবাব। ভারতের পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি Harop ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করার দাবিও করেছে দেশটি। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর তথ্য শাখা (ISPR) জানায়, তারা প্রযুক্তিগত (সফট-কিল) এবং অস্ত্রনির্ভর (হার্ড-কিল) দক্ষতা ব্যবহার করে ভারতীয় ড্রোনগুলোকে সফলভাবে ধ্বংস করেছে।

হারপ ড্রোন হলো একটি আত্মঘাতী ড্রোন যা শত্রুর রাডার টার্গেট করে নিজেই বিস্ফোরিত হয়। এটি ইসরায়েলের তৈরি এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী বর্তমানে সীমান্ত পর্যবেক্ষণ ও আক্রমণে এই ড্রোন ব্যবহার করছে।

পাকিস্তানের পাল্টা হামলার বর্ণনা

৬ মে তারিখে পাকিস্তান একটি পাল্টা বিমান হামলা চালায়, যেখানে ভারতের পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, একাধিক ড্রোন ও সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করে ISPR। এই হামলায় বহু সেনা হতাহতের খবরও জানানো হয়।

এ অবস্থায় ভারত আতঙ্কিত হয়ে ড্রোন হামলার পথ বেছে নেয় বলেও জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির সম্ভাবনা?

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও সংকটাপন্ন করে তুলবে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ সবসময় আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। আর এবার সেই উত্তেজনা তুঙ্গে।

এখনও পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তানের দাবি সত্য হলে এটি সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর সীমান্তে সবচেয়ে বড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষগুলোর একটি হবে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

এই ঘটনার জেরে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে সংযম বজায় না রাখলে কাশ্মীর আবারও সহিংসতার আগুনে পুড়বে।


পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সীমান্ত দ্বন্দ্ব এক ভয়াবহ মোড় নিয়েছে। ৫০ জন সেনার মৃত্যুর দাবি ও ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংসের ঘটনাটি এ অঞ্চলের শান্তির জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। এখন দেখার বিষয়, ভারত কীভাবে এই হামলার জবাব দেয় এবং বিশ্ব কূটনীতি কীভাবে এই সংকট মোকাবিলা করে।

Nenhum comentário encontrado