close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

পাহাড় থেকে সেনা ও বাঙালি প্রত্যাহার করতে হবে, জাতিসংঘে সন্তু লারমার নাতনি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মঞ্চ কাঁপালেন সন্তু লারমার নাতনি অগাস্টিনা চাকমা। বললেন, পাহাড়ে সেনা ও বাঙালি পুনর্বাসন না থামালে নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন সম্ভব নয়। জাতিসংঘের কাছে দাবি জানালেন শান্তিচুক্তি বা..

অগাস্টিনা জানান, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে অন্তত ১৬ জন জুম্ম নারী ও শিশু যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এই ঘটনাগুলোর অধিকাংশেই অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছে, কিন্তু এখনো কাউকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন,..

 

এই বিচারহীনতা ও রাষ্ট্রীয় নিষ্ক্রিয়তা পার্বত্য নারীদের জীবনে স্থায়ী ঝুঁকি তৈরি করছে। দিনকে দিন তাঁরা আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়ছেন।”


 শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির আহ্বান

জাতিসংঘ ফোরামের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে অগাস্টিনা আহ্বান জানান, পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপ সৃষ্টির। পাশাপাশি, আদিবাসী নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের সুপারিশ করতে বলেন জাতিসংঘকে।

“আমরা চাই না, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও একই দুঃসহ বাস্তবতায় বাঁচুক। জাতিসংঘকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”


প্রতিনিধি দল এবং ভিন্নমত

এই অধিবেশনে অগাস্টিনার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন পিসিজেএসএস (PCJSS) এর প্রতিনিধি চঞ্চনা চাকমা ও মনোজিত চাকমা

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকেও ছয় সদস্যের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল এই আন্তর্জাতিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে।

সরকারি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,

“শান্তিচুক্তির ৭০ শতাংশের বেশি বাস্তবায়িত হয়েছে। সেনা বাহিনী পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাস দমনে নিয়োজিত।”

তবে পিসিজেএসএস ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পাহাড়ে এখনো সেনা ক্যাম্প রয়ে গেছে, ভূমি জবরদখল চলছে এবং বাঙালি পুনর্বাসনের মাধ্যমে আদিবাসীদের ভূমি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে


আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাহাড়ি সংকটের নতুন মাত্রা

অগাস্টিনা চাকমার এ বক্তব্য শুধু আদিবাসী নারী নয়, বরং সারা পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদার প্রশ্নকে বিশ্ব দরবারে নতুনভাবে তুলে ধরেছে

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাতিসংঘের এই প্ল্যাটফর্মে জেএসএস প্রতিনিধির সরব উপস্থিতি বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্তর্জাতিক পরিসরে এমন সরব উপস্থিতি আগামীতেও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।


 উপসংহার

এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছে, পাহাড়ে শান্তির বাস্তবায়ন এখনো অসম্পূর্ণ। শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তব জীবনে শান্তির বার্তা পৌঁছানোই হবে প্রকৃত বিজয়। অগাস্টিনা চাকমার জাতিসংঘে তোলা আর্তি সেই বাস্তবায়নের ডাক—যা উপেক্ষা করা কঠিন।


পরবর্তী পদক্ষেপ

  • জাতিসংঘ কি আদিবাসী নারীদের সুরক্ষায় বিশেষ আইন প্রণয়নের সুপারিশ করবে?

  • বাংলাদেশ সরকার কি সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার ও ভূমি সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে?

 

कोई टिप्पणी नहीं मिली