close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

অতিরঞ্জিত সংবাদ প্রকাশ না করার অনুরোধ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই সঙ্গে সাংবাদিকদের অতিরঞ্জিত সংবাদ না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্..

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শায়িত পিলখানার শহীদ সামরিক কর্মকর্তা ও সদস্যদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,

🔹 নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে 🔹 পুলিশ, আনসার, র‍্যাবসহ সব বাহিনীকে আইন প্রয়োগে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে 🔹 কোনো বাহিনীর গাফিলতি পেলেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘‘অভিযানে কারও গাফিলতি থাকলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’’


সাংবাদিকদের জন্য সতর্ক বার্তা

সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আপনারা সংবাদ পরিবেশন করুন, তবে অতিরঞ্জিত করবেন না। কারণ এতে সাধারণ জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ায়।’’

একজন সাংবাদিক তাঁর বাসার পাশেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার বিষয়ে অভিযোগ করলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাঁকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে বলেন এবং আশ্বস্ত করেন, ‘‘আপনারা সঠিক সংবাদ সরবরাহ করুন, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’’


শহীদ পরিবারের দাবি পূরণে সরকারী উদ্যোগ

শহীদ পরিবারের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বিচার ও শহীদ সেনা দিবস ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, বিচার নিশ্চিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘শহীদ সেনাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে, এবং এই বিচার প্রক্রিয়া চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হয়।’’


প্রথমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হচ্ছে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে সেনা কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।

🔸 প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ 🔸 শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বনানীতে দোয়া ও নীরবতা পালন 🔸 সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানদের শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

এ ঘটনাকে দেশের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা ‘স্বাধীনতার পর দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রথম বড় ধরনের আঘাত’ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন।

সরকারের মূল্যায়ন অনুযায়ী, ‘‘১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধেও একসঙ্গে এতজন সেনা কর্মকর্তাকে হারানো হয়নি।’’


উপসংহার

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এবং সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে সরকার সঠিক তথ্য পরিবেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।

জাতীয় শহীদ সেনা দিবস প্রথমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে শহীদ সেনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো হলো, যা ভবিষ্যতে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Nenhum comentário encontrado