ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে, যা রাজধানীর নির্বাচনী পরিবেশকে মুহূর্তেই উত্তপ্ত করে তুলেছে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই ওসমান হাদীকে দ্রুত মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী পরিস্থিতিতে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে, বা কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে একজন প্রার্থীর ওপর নির্বাচন চলাকালীন এমন সহিংস হামলায় নির্বাচনী এলাকার সাধারণ ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কারণে তার ওপর এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা গেছে, গুলিবিদ্ধ প্রার্থীর অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। পুলিশ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে তারা ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের হামলা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করতে পারে এবং এর ফলে ভোটারদের মধ্যে ভয় ও অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হতে পারে।
শরিফ ওসমান হাদী ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ নামক একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তার ওপর এই আক্রমণ কেবল ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে না, বরং এটি একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি উঠেছে। এই ঘটনার বিস্তারিত তথ্য ও প্রার্থীর শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ আপডেটের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি এখন ঢামেক হাসপাতালের দিকে নিবদ্ধ।



















